ঢাকা ইপিজেডে সংঘর্ষে আহত ৪,১৬টি মোটরসাইকেল-১টি পিকআপ ফেলে পলায়ন

মার্চ ০২ ২০২১, ১৯:২১

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ ঢাকা ইপিজেড পুরাতন জোনের একটি কারখানার ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ৪জন গুরুতর সহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।পরে হামলাকারীরা ১৬টি মোটরসাইকেল ও একটি পিকআপ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

মঙ্গবার সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়ার ইপিজেড-ভাদাইল সড়কের স্বনির্ভর ধামসোনা ইউপির মেম্বার আবু সাদেক ভুইয়ার বাড়ির সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, যুবলীগের কর্মী শাহিনুর রহমান শাহিন (২৫), আব্দুল্লাহ (২১) সেলিম (৩৫) ও রবিন (২০)সহ কমপক্ষে ১০জন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিইপিজেড পুরাতন জোনে পাকিস্তানি মালিকানাধীন এক্সপেরিয়ান্স ক্লথিং কোম্পানী লিমিটেড ও এক্সপেরিয়ান্স এক্সেসরিজ কোং লিঃ এর ঝুট ব্যবসার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহব্বায়ক কবির হোসেন সরকার সমর্থকদের সাথে  স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আবু সাদেক ভুইয়ার ছেলে মনির হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে থানা যুবলীগের আহব্বায়ক কবির হোসেন সরকার সমর্থক ৪জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে আশুলিয়ার বেরন এলাকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এ ব্যাপরে মনির হোসেন জানান, ‘ঢাকা ইপিজেড জোনের ভিতরে তার ওয়েস্টেজ ব্যবসা রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তার দুইজন কর্মী ওয়েস্টেজ ভরার জন্য ইপিজেডের গেটে যায়। এসময় সেখানে যুবলীগের আহব্বায়ক কবির সরকারের লোকজন তাদেরকে মারধর করে। এ ঘটনায় ফারুক হোসেন ও কবির হোসেন নামের দুইজনকে কুপিয়ে মারত্মক জখম করে। পরে তাদের লোকজন ভাদাইল এলাকায় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে হামলা করে এবং চার-পাঁচ রাউন্ডের মত গুলি করে। এসময় এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এব্যাপারে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহব্বায়ক কবির হোসেন সরকার জানান, ঢাকা জোনের এক্সপেরিয়ান্স ক্লথিং কোম্পানী লিমিটেড ও এক্সপেরিয়ান্স এক্সেসরিজ কোং লিঃ এর সাথে দীর্ঘ তিন বছর ধরে চুক্তির মাধ্যমে ঝুট ব্যবসা করে আসছেন তিনি। সোমবার ওই কারখানায় তার লোকজন গেলে ইউপি সদস্য আবু সাদেক ভুইয়া ও তার ছেলে মনির হোসেন তার লোকদেরকে কারখানা থেকে মারধের করে বের করে দেয়। এ ঘটনায় তার ম্যানেজার সেলিম আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরের দিন মঙ্গলবার সকালে তার ম্যানেজার সেলিম লোকজন নিয়ে ওই কারখানায় যাওয়ার পথে আবু সাদেক ভুইয়ার বাড়ির সামনের রাস্তায় পৌছলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার লোকজনের উপর হামলা চালায় এবং স্থানীয় মসজিদের মাইকে এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দেয়। এতে শত শত এলাকাবাসি রাস্তায় বেরিয়ে পড়লে তার লোকজন মোটরসাইকেল ফেলে রেখেই জীবন রক্ষার্থে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এঘটনায় তার চারজন কর্মী গুরুতর সহ ১০জন আহত হয়েছে। ঘটনায় তিনি আশুলিয়া থানায় মামলা করবেন বলেও জানান।

এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আশূলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রাস্তায় পড়ে থাকা ১৬টি মোটরসাইকেল ও একটি পিকআপ জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তারা। সংঘর্ষে ব্যবহৃত দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ১৬টি মোটরসাইকেল ও একটি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও