মুজিব বর্ষ হউক বাঙ্গালী জাতির শিক্ষা বিপ্লবের আরেক নতুন অধ্যায়

জুন ০৪ ২০২১, ১৮:৫৪

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিক্ষাকরা জাতি গড়ার কারিগর।শিক্ষা ও শিক্ষক নিয়ে মনীষীদের চিরচায়িত বানী গুলো আজ যেন অবহেলিত।শিক্ষকতা যেন হাজারো দুঃখ,বেদনা,আথিক অনটন সহ্য করার মত অত্যাচারিত পেশা।আমাদেরও ইচ্ছা,আঙ্খাকা,চাহিদা আছে অন্যদের মত।সমাজের অন্য পেশার মানুষ যখন সৌখিনভাবে জীবন যাপন করে তখন আমাদের পরিবার মাথানিচু করে না দেখার ভান ধরে চলতে হয়।কেননা আমাদের তো মাস শেষে ধার দেনা করতে চলতে হয়।

মাসিক ১০০০ টাকা বাড়িভাড়ায় আমাদের বসবাস,৫০০ টাকা ভাতায় পুরো মাসের পরিবারের চিকিৎসা খরচ।প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা অবহেলার শিকার। মনে রাখবেন কাউকে ছোট করে বড় হওয়া যায় না।কাউকে আর্থিক অনটনে রেখে নিজের প্রশান্তি কিনতে পারবেন না।সরকার মহোদয়ের স্বদিচ্ছা থাকার স্বত্তেও কিছু কুচক্রী মহলের যড়যন্ত্রের শিকার এমপিভুক্ত শিক্ষক সমাজ।একজন শিক্ষক যতই অভাব অনটনে থাকুক শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে কখনও কার্পণ্য করেন না।

আজ দেশের ভাগ্য আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা গেলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীর ভাগ্যে একটি তাঁরাও যেন দূর্লভ।আপনারদের সম্মানের তালিকায় মা-বাবার পর যদি শিক্ষকের অবস্থান হয়,কেন আজ অবসরের পর নিজের অর্জিত বেতন থেকে কেটে রাখার অবসরের টাকার জন্য ৫ থেকে ৬ বছর আপনাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হয়?সময়মত এ অবসরের টাকা না পেয়ে চিকিৎসা অভাবে ভেঙ্গে যায় একটি পরিবারে স্বপ্ন। কেন নেই এই শিক্ষকের জন্য কোন পেনশন ব্যবস্থা?কেন অপমান করা হয় নামে মাত্র বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা দিয়ে ? মন্ত্রানালয়ের বড় অবস্থানে গিয়ে হয়তো অপনারা ভুলে যান আপনারও কোন না কোন এই হতভাগা শিক্ষকের ছাত্র ছিলেন।আপনাদের এ অবস্থানের পেছনে কোন কোন শিক্ষকের অবদান ছিল।অপনারা যদি শিক্ষকদের প্রাপ্য সম্মান দিতে ব্যর্থ হন,তাহলে শিক্ষক সমাজের বড় অসহায়ত্বের অভিশাপ অপনাদের উপর বর্তায়।

মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে দেশের স্বাধীনতার জন্য অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে,আমরাও তো একটি সভ্য জাতি গঠনে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।কেন আমরা এত অবহেলার পাত্র?আমাদের কথাতো আপনাদের কর্ণপাত হয় না,যেন আমরা ভিখারি বেশে হাত পাতি। ইচ্ছা হলে দিবেন না দিলে কোন বিবৃতি নেই।এটা শুধু আমাদের সাথে প্রতারণা নয় বরং জাতিকে পঙ্গুকরার সামিল। যেখানে একজন এমপি মহোদয়ের গাড়ির ড্রাইভারের বেতন মাসিক ২০,০০০ টাকা, সেখানে একজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বেতন মাসিক ১২,৫০০ টাকা।এ যদি হয় শিক্ষাগুরুর জীবন, তাহলে এ পেশায় মেধাবীরা আসবে?

আমরা আশা করবো মন্ত্রানালয়ের প্রত্যেক কর্তা ব্যক্তির কাছে শিক্ষক শব্দটি আলাদা অনুভূতি সৃষ্টি করবে,আমাদের প্রতি ন্যায় বিচার করবে এবং ন্যায্য দাবি মেনে নেবে।
গভীর সমুদ্রের বুক ছিড়েঁ যখন দৃশ্যমান হয় পদ্মাসেতু,কর্ণফুলী নদীর তল দেশে গড়ে ওঠে বৃহত্তর টানেল,গ্রাম যখন রুপান্তরিত হয় শহরে তখনতো আমাদের ও আশা জাগে শিক্ষা ব্যবস্থা হবে জাতীয়করণ।প্রতি বছর শিক্ষা ক্ষেত্রে যে বাজেট হয় তা দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা যাবে যদি কর্তাব্যক্তিরা দূর্নীতিকে প্রত্যাখান করে এমনটায় আশা শিক্ষাবিদদের।

১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশের মানুষের প্রতি অগাধ ভালোবাসা,অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠ,সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বে যেভাবে নিরস্ত্র বাঙ্গালী স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছে এবং ওনার হাতে সূচনা হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ।ঠিক তেমনি তারই সুযোগ্য কন্যার কন্ঠে মুজিব বর্ষে আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার অমূল পরিবর্তন দেখতে চাই।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও