আসিফ নজরুলকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অনশনে অসুস্থ আখতার

অক্টোবর ১৮ ২০১৮, ২১:৩৮

Spread the love

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশন করছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন। অনশনের তিন দিন পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তার সাথে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি।

এদিকে তৃতীয় দিনে শারিরীক অবস্থায় অবনতি ঘটে এই শিক্ষর্থীর। তাকে দেখতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুলের বুকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এই দৃশ্য দেখা যায়।
এই সময় আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল তার শারিরীক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। কথা বলার এক পর্যায়ে অসুস্থ আখতার কান্না করতে থাকেন। আসিফ নজরুল এই সময় তাকে বুকে জড়িয়ে নেন। তার পাশে থাকবেন বলে জানান।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, আমি তার সাথে যখন কথা বলছি তখন মনে হলো আখতার কাদঁছে কেন? আসলে তার শিক্ষকরা অর্থাৎ আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সার্বিকভাবে আমরা কতটা অমানুষ হয়ে গিয়েছি কতটা অসংদেনশীল হয়ে গেছি আমরা কতটা অনাচারী হয়ে গেছি এটা রিয়ালাইজ করে কাদঁছে আখতার হোসেন।

তাকে কেউ দেখতে আসেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটা প্রশ্নপত্র ফাসঁ হয়েছে এটার প্রতিবাদে একটা ছেলে বসে আছে কেউ তাকে দেখতে আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই দায়িত্ব অনুভব করছেনা। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক, দুঃখজনক আর কি হতে পারে। আখতার এই ইউনিভার্সিটির ছাত্র। এই ইউনিভার্সিটির প্রতিটি ছাত্রের দেখাশুনা করা, নিরাপত্তা দেওয়া ভালো-মন্দ দেখা এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই দায়িত্ব। এটা প্রতিটি শিক্ষকের দায়িত্ব। আমরা এই দায়িত্ব পালন করতে ব্যার্থ হয়েছি।

এর আগে বুধবার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীও আখতারের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।কোটা সংস্কারের আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারাও বুধবার আখতারের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন। এছাড়া দাবি আদায়ে আজ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১২টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার পরও বিপুল সংখ্যক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। উৎসঃ dailynayadiganta

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও