শায়েস্হাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছোট ভাই Arifuzzaman Munna এর সাথে প্রতিদিনই আমার ফোনালাপ হয়,কখনো পারিবারিক এবং কখনো রাজনৈতিক ! আজকের আলোচনার বিষয় ছিলো আসন্ন সংসদ নির্বাচন! আমার প্রশ্ন ছিলো শায়েসহাবাদের জনগন সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে? উত্তর(চেয়ারম্যান মুন্না)-চামচা শ্রেনীর ভোটাররা ভাবছে এই সুযোগেএকটা নতুন শাল কিনবো,বউয়ের জন্য নতুন শাড়ী কিনবো এবং বিনা পয়সায় বাজারে চাঁ-বিস্কুট-কলা-রুটি-সিগরেটট পাবো! মাস্তানরা ভাবছে একটি নতুন হোন্ডা কিনবো! মাতালরা ভাবছে পুরু স্বাধীনতার মাসটা বিনা পয়সায় হুইস্কি-ইয়াবা গাজা খাবো! রসিক ভাবছে প্রেমিকাকে নিয়ে সিনেমা দেখবো শহরের দামীয় রেস্তোরায় ডিনার খাবো !পাতি নেতারা ভাবছে দামীয় পান্জাবী এবং স্যুট কেনবো যাহা বড় বড় নেতা এবং তাদের আত্নীয়স্বজনরা পরিধান করে ! বলতে বলতে প্রিয় ছোট ভাই চেয়ারম্যান মুন্না উত্তেজিত হয়ে যায় এবং একটু বিরতি টেনে আবার বলতে শুরু করেন-ভাই ১৯৮৫ শালে জন্মেছি বিধায় ১৯৭১ সনের স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখেনি তবে ২০১৮ সনে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাত-শিবির যাহারা ৩০ লক্ষ নিস্পাপ বাঙ্গালী নর নারীকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিলো,২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত লুন্ঠনে সহায়তা করেছিলো,লক্ষ লক্ষ মানুষের ঘর বাড়ী জ্বালিয়ে দিয়েছিলো ও লুন্ঠন করেছিলো এবং তাদের দোসর BNP যাহারা কূখ্যাত মোস্তাক জিয়ার নেতৃত্বে স্বপরিবারে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ,জাতীয় চার নেতা সহ প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ,বুদ্ধিজীবি, সাহিত্যিক,শিক্ষক,ছাত্র,শিল্পী,ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,সেনাবাহিনী,পুলিশ,বিডিয়ার,শ্রমিক এবং কৃষককে হত্যা করে স্বাধীনতা আন্দোলনের জাতীয় চারমূলমন্ত্রকে(জাতীয়তাবাদ,ধর্মনিরপক্ষতা,গনতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র)কলংকিত করেছে তাদের বিরোদ্ধে শায়েস্হাবাদে ৯৮% জনগনকে সাথে নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট যুদ্ধে সর্ব শক্তি নিয়ে অংশ গ্রহন করবো ! আমরা গ্রাম বাংলার সাধারন মানুষ,আমাদের দৃষ্টিতে JAMAT, BNP,চামচা,মাস্তান,চরিত্রহীন পাতি নেতা এবং টাকার বিনিময়ে ভোট দালালরা —শিয়াল এবং খাডাস !শিয়াল- খাডাস যখন খোপে হানা দেয় ওরা শিশু বার্ধক্যের তোয়াক্কা করে না !যেখানে পাবো সেখানে পিটাবো কারন ওরা সুযোগ পেলেই বঙ্গবন্ধু-রাসেল -সুকান্ত সেরনিয়াবাদকে হত্যা করে! ওরা সুযোগ পেলেই শেখ হাসিনার শরীরে গ্রেনেট ছুঁড়ে! এবার চেয়ারম্যান মুন্না একটু চীৎকার করেই বললো, দাদা শায়েসহাবাদের রাস্তায় যদি কোন শিয়াল- খাডাস হানা দেয় তাদের ঘেড়াউ করা হবে এবং উচিৎ শিক্ষা দেয়া হবে! আমাদের এলাকায় আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী কর্নেল ফারুক(শামীম) বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী সাবেক সেনা অফিসার! দলের উচ্চপর্যায়ে দলীয় নিরাপত্তা,জাতীয় অর্থনীতি,শিল্পনীতি এবং পররাষ্ট্র নীতিতে উন্নত এবং মানবতাবাদী বিশ্ব পরিবারের সাথে বাংলাদেশের আত্নীয়তা ও সুস্পর্ক গড়ায় কর্নেল ফারুক ব্রীজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন!বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যেমনি তৃনমূল থেকে নেতৃত্ব গড়ে উঠে তেমনি মেধা,দক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাক্তি বর্গের মধ্য থেকেও রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়ে উঠে যেমন সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরীয়া এবং বর্তমান অর্থমন্ত্রী মুহিত! কর্নেল ফারুক ওনাদের ন্যায়ই একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব! যিনি নির্বাচিত হলে বরিশাল শহরে গুন্ডা রাজনীতির অবসান ঘঠবে !ইতিমধ্যে বরিশালের নগরপূত্র সাদেক সেরিনয়াবাদ এবং সংসদ সদস্যা জেবুন্নেসার নেতৃত্বে রাজনীতিতে গুন্ডাপ্রথার ৮০%ভাগের অবসান ঘটেছে! ১৯৭৫ সনে জিয়া বরিশালে সরোয়ার সহ অনেক রাস্তার বকাটে গূন্ডাদের হাতে দায়িত্ব দিয়েছিলো মুজীব আদর্শে বিশ্বাসী স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের প্রতিহত করার জন্য !বরিশালের রাজনীতিতে কর্নেল ফারুকের আগমনে ১০০%গুন্ডা রাজীতির অবসান ঘঠবে এবং রাজনীতিতে সততা,শিক্ষা,ভদ্রতা,সেবা এবংআদর্শ-প্রশিক্ষনের প্রচলন তরাননিত হবে!——————–অনেকক্ষন আকুল আগ্রহে চেয়ারম্যান সাহেবের মূল্যবান অনুভূতি উপভোগ করলাম আর মনে মনে ভাবলাম- বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়নের আওয়ামী নেতৃত্ব যদি মু্ন্নার মতো দৃঢ় হয় তা হলে ৩০ ডিসেম্বরই হবে মূজীব আদর্শের চূড়ান্ত বিজয় আর চিরতরে নির্মূল হবে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি!