প্রধানমন্ত্রী বলেন,বক্সে লেখা আছে এন-৯৫, কিন্তু ভেতরে সঠিক জিনিসটা যাচ্ছে না

এপ্রিল ২০ ২০২০, ২২:২৯

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃরাজধানীতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত মহানগর জেনারেল হাসপাতালে ভুল মাস্ক সরবরাহের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহানগর হাসপাতালে কিছু জিনিস গেছে, পিপিইর নাম দিচ্ছে বেশ ভালো, কিন্তু জিনিসগুলো বোধহয় ঠিকমতো যায়নি। তিনি বলেন, এখানে যেহেতু অনেকে লাইভে আছেন, আমরা কথা বলছি না। লেখা আছে এন-৯৫। কিন্তু ভেতরের জিনিস কিন্তু সব সময় সঠিকটা যাচ্ছে না।এটা একটু আপনাদের খোঁজ করে দেখা উচিত।সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে এই নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দিয়ে দিচ্ছেন, বলে দিচ্ছেন। কিন্তু যারা সাপ্লায়ার্স, তারা ঠিকমতো এটা দিচ্ছে কিনা বা সঠিক জিনিসটা কিনছে কিনা, এটা দেখা দরকার। এটা দেখবেন। যেহেতু আমি… বেশি কিছু বলতে চাই না, আমি মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি ছবিটা, ওটা যাচাই করে দেখার জন্য। এটা একটু নজর দেবেন।

পরে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদ উল্লাহ ব্যাখ্যা দিতে গেলে তাকে থামিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এন-৯৫ লেখা আপনাদের বক্সে। কিন্তু ভেতরের যে জিনিসটা, সেটা সঠিক থাকে কিনা, এটা একটু আপনাদের দেখা দরকার।

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় প্রথমসারির যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীদের এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে সাধারণ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যদি এ রকম কিছু করে থাকে… বা এর সাপ্লায়ার্স কে… আমি শুধু বললাম, মহানগর হাসপাতালে এটা গেছে। বাবুবাজারের যে হাসপাতালটা… এটা তো করোনাভাইরাসের জন্য ডেডিকেটেড। তো এ রকম কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় যদি হয়, এটা তো ঠিক না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যাদেরকে এনগেইজড করেন, যাদেরকে ব্যবসাটা দেন বা যাদেরকে নেয় বা সাপ্লাই দেয়, তারা সঠিকটা দিল কিনা। বক্স তো ঠিক আছে, কিন্তু বক্সের ভেতরের জিনিসগুলি ঠিক আছে কিনা আমার মনে হয়, নজরদারি বাড়ানো দরকার… বা যিনি রিসিভ করবেন, তিনি যেন দেখেশুনে এটা রিসিভ করেন। খালি আমি এটুকু বলতে চাই।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা কাজের জন্য পিপিইসহ নির্ধারিত সুরক্ষা সামগ্রীর অপব্যবহার না করার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেগুলো সম্পূর্ণভাবে রোগী দেখার জন্য, সেগুলো রোগী দেখার জন্যই থাকবে এবং ওই হাসপাতাল ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট যারা, তাদেরকেই ব্যবহার করতে হবে। বাকি সবাই সুরক্ষিত থাকবার জন্য যা ব্যবহার করা হয় মাস্ক বা হ্যান্ড গ্লাভস বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, সেগুলো সকলে মিলে ব্যবহার করবেন।

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ডাক্তার, নার্স যারা রোগী দেখবেন, তাদের যে জিনিসগুলো ব্যবহার করা দরকার, সেগুলো যদি সবাই মিলে যত্রতত্র ব্যবহার করতে শুরু করে, তাহলে আমরা ডাক্তার নার্সদের দেব কীভাবে?

তিনি জানান, এ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪০টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৬৯টি বিতরণও করা হয়েছে।

এ সময় সবাইকে স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বানও জানান সরকার প্রধান।

 

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও