মানবতার ফেরিওয়ালা খোরশেদের স্ত্রী শ্বাসকষ্ট নিয়ে জীবন সংকটে, আইসিইউ খালি নেই
তিনি আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার শ্বাসকষ্ট বাড়ার পাশাপাশি পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে গেছে। বিশেষ করে আমার ( খোরশেদ) করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরে আরও ভেঙ্গে পড়েছে সে।
খোরশেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, শনিবার বিকালে লুনার অবস্থার অবনতি হলে আইসিউ ব্যবস্থা করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছি। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় আইসিইউ ম্যানেজ করতে পারি নি। আমার স্ত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ। কোথাও আইসিইউ খালি পাচ্ছি না। নারায়ণগঞ্জে শুধু সাজেদা হাসপাতালে চারটি আইসিইউ বেড রয়েছে। সেগুলোও পরিপূর্ণ। আর কোথাও নেই।শনিবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের। এর আগে তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে বাড়িতেই ছিলেন।
কাউন্সিলর খোরশেদ বলেন, আমি রিপোর্ট পেয়েছি। এতে আমার দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ৬১টি লাশ দাফন করেছি আমি। এখন নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে চলে গেছি। আমি নিজে চিকিৎসা নেব বাড়িতে থেকে।
তিনি আরও জানান, আমি আক্রান্ত হলেও আমার সকল কার্যক্রম চলবে। আমার টিম সক্রিয় থাকবে। আমার ফোন চালু থাকবে। আমি যতদিন বেঁচে আছি এক বিন্দুও নড়ব না।