কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চের স্টাফদের যৌন হয়রানিতে কিশোরীর নদীতে ঝাঁপ
কিশোরী জানায় সে কাজের সন্ধানে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে তজুমদ্দিন স্লুইজঘাট থেকে কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চে উঠে। লঞ্চে উঠার পর লঞ্চের ষ্টাফরা তাকে বিভিন্ন কু-প্রস্তাবের মাধ্যমে যৌন হয়রানি করতে থাকে এবং কিশোরীকে তাদের সাথে কেবিনে রাত্রি যাপন করতে টানাটানি করে, ইজ্জত রক্ষার্থে সে নদীতে ঝাঁপ দেয়।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করতে একটি বয়া ফেললেও পানির স্রোতে বয়া ধরতে পরেনি সে। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধারে অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায় লঞ্চটি। পরে প্রায় ৩ ঘন্টা পর জেলেরা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে কিশোরী তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
কিশোরীকে উদ্ধার করা নৌকার জেলে রায়হান বলেন, সন্ধার সময় আমরা নদীতে মাছ ধরার জন্য নৌকা প্রস্তুত করছিলাম হঠাৎ নদীর মাঝে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে আমরা তাকে উদ্ধার করি।পরে তাকে মিজান তালুকদারসহ অন্যরা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চের সুপারভাইজার মোঃ রুবেল জানায়,সে লঞ্চের উপরে ছিল,পরে ঘটনা শুনে তাকে উদ্ধারের জন্য একটি বয়া ফেলে কিন্তু কিশোরটি বয়া ধরতে পারেনি। তখন তারা ঢাকায় চলে যায়, পরে কি হয়েছে তা জানে না।
তজুমদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ শামীম জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরীর সাথে কথা হয়েছে। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলছে, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল জানান, রোগীর ভাষ্যমতে তাকে লঞ্চের ষ্টাফরা অনৈতিক প্রস্তাব দিলে সে নদীতে ঝাপ দেয়ার সময় ডান হাতে আঘাত পায়। জেলেরা নদী থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমানে তার অবস্থা ভালো রয়েছে।