ঝিনাইদহে খাল সংস্কারে কেটেছে পাকা রাস্তা,৪০ গ্রামের যাতায়াত বন্ধ

জুলাই ২৬ ২০২০, ১৯:২৫

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃঝিনাইদহের শৈলকুপায়  সংস্কারের নামে খালের পাকা রাস্তা কেটে দেওয়ায় ৪০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও শত শত একর জমির রোপা আমন ধান চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, শৈলকুপার উত্তর মির্জাপুরের এস .৮.এ.কে খাল, এলাকায় নাজির জোয়ার্দ্দারের খাল বলে পরিচিত, এই খালের পশ্চিম পাশের রাস্তায় খালের সাইফন সংস্কারের নামে কেটে দেওয়ায় বিশাল এক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই গর্ত দিয়ে খালের হাজার হাজার গ্যালন পানি বাইরে বের হয়ে যাওয়ায় খাল শুকিয়ে যাচ্ছে। আবার এই রাস্তা দিয়ে ৪০ গ্রামের মানুষের চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাস্তা কেটে দেওয়ায় খালের সমস্থ পানি বাইরে চলে যাওয়ায় শত শত একর জমিতে আমন ধান চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এই রাস্তা দিয়ে ঝিনাইদহ জেলার বৃত্তিপাড়া, বৃত্তিদেবী রাজনগর, ধর্মপাড়া, মির্জাপুর, রাজাপুর, মধুদহ, কচুয়া, কাঁচেরকোল, বাখরবা, খন্দকবাড়িয়া, বেনীপুর, আগুনিয়াপাড়া, সিদ্দি, আমতলা, তমালতলা, হড়রা, দিগনগর ও কুস্টিয়া জেলার সান্দিয়ারা, রাজাপুর, খাগরবাড়ীয়া, মূলগ্রাম, বশিগ্রাম, ডাসাসহ ৪০ গ্রামের মানুষ চলাচল ও মাঠে চাষাবাদ করে থাকে।

জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ন্যাচারাল কুষ্টিয়া। নাসির মোল্লা, হবিবর রহমান ও লাল বাবু এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে।

তবে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন শৈলকুপার মতিয়ার রহমান নামে জনৈক ঠিকাদারে বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ঠিকাদার মতিয়ার রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এস.৮.এ.কে খালের পানি ব্যবস্থাপনা দলের সভাপতি আঃ সাত্তার বলেন, ঠিকাদার ইচ্ছাকৃতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে ভাল রাস্তা কেটে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এখন শুধু জনদুর্ভোগই না শত শত একর জমির রোপা আমন ধান চাষে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে।

বিত্তিদেবী রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা এস, ৮.এ.কে.খালের পানি ব্যবস্থাপনা দলের সাধারণ সম্পাদক মীর নওশের আলী বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে রাস্তা কেটে ঠিকাদার এই কাজটি করেছে অধিক সরকারি বরাদ্দ পাওয়ার আশায়। এখানে সে কোন কাজ করেনি অথচ রাস্তা কেটে বিশাল গর্ত করে মানুষের সৃষ্ট সংকট তৈরী করেছে। এখানে এক পয়সার কাজ হয়নি।

তিনি আরো বলেন, খালের ভাল রাস্তা কেটে বিশাল গর্ত সৃষ্টি করে মোটা অংকের ভুয়া প্রজেক্ট পাশের পায়তারা করছে। শুধু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান না এর সাথে জি, কে প্রকল্পের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারাও জড়িত। আমরা এই জনদুর্ভোগের তদন্ত পূর্বক শাস্তি দাবি করছি।

এ ব্যাপারে জানতে ঠিকাদার নাসির মোল্লাকে বার বার মোবাইলে ফোন করেও পাওয়া যাইনি।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও