দেশে একনায়কতন্ত্র চালু করছে সরকারঃমির্জা ফখরুল

আগস্ট ২১ ২০২০, ১৪:৩৫

Spread the love

তিনি বলেন, আজকে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারা (সরকার) দখল করে নিয়েছে। দখল করেছে শুধু বন্দুক-পিস্তলের জোরে তারা টানা ক্ষমতায় থাকার জন্য, একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য। আজ বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্রবিহীন, একটা ফ্যাসিবাদী একনায়কতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরুতে হবে। এদেরকে সরাতে হবে, জনগণকে মুক্তি দিতে হবে এবং সেই মুক্তি দিতে হলে জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে। জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হলে বিএনপিকে আজকে দেশের সমস্ত মানুষকে, সকল রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘কোনও দিন আমরা কল্পনাই করতে পারি যে, এই নির্বাচন কমিশন দেশে একটা এই ধরনের ভয়াবহ নির্বাচন করবে। তিন তিনটা নির্বাচনই তারা একই ধরনের নির্বাচন করেছে।’

‘এটা একটা হাইব্রিড সরকার। তারা নির্বাচনকে ব্যবহার করবে তাদের ক্ষমতায় থাকার জন্য এবং করছেও তাই। তারা সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, আদালত সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে বলেছে যে, আমরা তো নির্বাচিত সরকার।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। এটা তো একটা অকল্পনীয় ব্যাপার। যে নেত্রী স্বাধীনতার পতাকা, গণতন্ত্রের পতাকাকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন, জনগণ তার পেছনে ছুটেছে। সেই নেত্রীকে তারা আটক করে রেখেছে। এটার একটি মাত্র কারণ। তিনি যদি বাইরে থাকেন তাহলে এই জনগণকে আটকিয়ে রাখা যাবে না। সেজন্য তারা তাকে আজকে আটকে রেখেছে।”
ফখরুল বলেন, ‘আজকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব তিনি নির্বাসিত দেশের বাইরে রয়েছেন। আমাদের নেতারা যারা আছেন দুই-একজন বাদ দিয়ে সকলের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা। কারো কারো মামলা এমন পর্যায় এসেছে যে, রায় হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সিরাজুল হক, নিলোফার চৌধুরী মনি, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, প্রয়াত নেতার সহধর্মিনী মাহমুদা সালাম, তার মেয়ে সালিমা বেগম, স্বামী মাহমুদুল হাসান, ভাতিজী সাদিয়া হক, স্মৃতি সংসদের সুজাত আলী, শামসুজ্জামান মেহেদি প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও