১৫ আগস্ট মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের খলনায়করাএখনও প্রধানমন্ত্রীর সাথে

আগস্ট ২৪ ২০২০, ২২:২১

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক:: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ১৫ আগস্ট মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের খলনায়করা এখনও প্রধানমন্ত্রীর সাথে রয়েছেন। কিন্তু কোনো এক রহস্যজনক কারণে প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা বলেন না।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের সাথে আওয়ামী লীগ নিজেরাই জড়িত তা দিবালোকের মতো যেমন সত্য ঠিক তেমনিই সুপরিকল্পিতভাবে ২১ আগস্টের সাথেও আওয়ামী লীগের আপনজনরা জড়িত।

সোমবার (২৪ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ১৫ আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনার সাথে সাথেই যারা কেবিনেট এবং সংসদ সদস্য থাকলেন তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কেবিনেট ও পার্লামেন্টে ছিলেন। এটি নতুন করে বলার আর প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগের নেতারাই রক্তাক্ত লাশ ডিঙ্গিয়ে নতুন করে শপথের মাধ্যমে মন্ত্রিসভা গঠন করে খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে। খন্দকার মোশতাক ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাকশালের মন্ত্রী ছিলেন এবং বাকশালের পার্লামেন্টেই খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার অধীনে কার্যক্রম চালাতে থাকেন।

তিনি বলেন, খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভার শপথ পরিচালনা করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। ১৫ আগস্টের পর খন্দকার মোশতাকের সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং মন্ত্রিপরিষদের অনেক সদস্যই শেখ হাসিনার অধীনে রাজনীতি করেছেন। কিন্তু তাদের কখনও খলনায়ক তিনি বলেননি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান সরকারি চাকরি করতেন এইচ টি ইমামের মতোই। সেনাবাহিনী সরকারের একটি বিভাগ। তিনি ছিলেন সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ব্যক্তি, প্রথম ব্যক্তি নন। যিনি সেনাবাহিনীর প্রধান তার কোন দায় নেই, দায় নাকি জিয়াউর রহমানের! তৎকালীন সেনাপ্রধান শফিউল্লাহর হাতেই ছিল সমগ্র সেনাবাহিনীর কমান্ড। অথচ আওয়ামী লীগের এমপি হওয়ার কারণে তিনি অভিযুক্ত নন। কারণ যে যত অপরাধই করুক শেখ হাসিনার আনুগত্য করলে তার সাত খুন মাফ।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের আত্মম্ভরি ও বাধ্যকরণের নীতির কারণ হচ্ছে সব সেক্টরে তারা ব্যর্থ হয়েছে নিদারুণভাবে। অর্থনীতি অধোগতি, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা, হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা না থাকা, আইসিইউয়ের অভাব, নমুনা পরীক্ষার দীর্ঘসূত্রিতা, ফল পাওয়ার আগেই রোগীর মৃত্যুসহ স্বাস্থ্যব্যস্থার বিপর্যয়, মৃত্যু ও রোগাক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি, ধ্বংসপ্রাপ্ত শিক্ষা, মানুষের জীবনের নিরাপত্তাহীনতা, কর্মসংস্থানের অভাব, লাখ লাখ বেকার, দুর্নীতি, টাকা পাচার, ভৌতিক বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস, বিশুদ্ধ পানির অভাব ও মূল্যবৃদ্ধি, আইন ও বিচার বিভাগকে হস্তগত করা, ক্যাসিনো, সামাজিক অবক্ষয়, নারী-শিশু নির্যাতন ও ক্রসফায়ারের জন্য এক মনুষত্বহীন বর্বর চেহারা ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের।

তিনি বলেন, বর্তমান গণবিরোধী অত্যাচারের আরেকটি নমুনা পাটকল বন্ধ করে দেয়া। সরকারি ২৫টি পাটকল এখন সম্পূর্ণ বন্ধ। পাটকল শ্রমিকরা এখন রিকশা চালায় ও নৌকা বাইছে। বর্তমান করোনার সময়ে তারা মানবতার জীবনযাপন করছে। পাটকল শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের কথা বলা হলেও তাদের প্রাপ্য টাকা দেয়া হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের আশ্বাস দেয়া হলেও কোনোটাই পূরণ তো করা হয়নি বরং শ্রমিকরা প্রতারিত হয়েছে বলে মনে করে। অনাচার-অবিচারের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার কখনোই কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের স্বার্থকে গুরুত্ব দেবে না বরং তাদের রক্ত চুষে সমাজে সম্রাট, খালেদ, বরকত ও শামীম তৈরি করবে। পাচার হবে হাজার হাজার কোটি টাকা।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও