নিম্ন আদালতকে জামিনের ক্ষেত্রে ৪টি বিষয় মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট
২. নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জামিনে মুক্তি পাওয়া ব্যক্তি যদি অধস্তন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেন, শুধু হাইকোর্টের জামিনের এক্সেনশন অর্ডার না থাকার কারণে অধস্তন আদালত তার জামিন বাতিল করে জেলহাজতে পাঠাতে পারবেন না।
৩. নির্দিষ্ট সময়ে জামিন পাওয়ার পর যদি সেই সময় পার হয়ে যায় তবে হাইকোর্টে আসামি যেই রুল বা আপিলে জামিন পেয়েছেন সেই রুল বা আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।৪. অধস্তন আদালত হাইকোর্টের দেওয়া জামিন কোনও অবস্থাতেই হাইকোর্ট যেই রুলে বা আপিলে জামিন দিয়েছেন তা খারিজ না হওয়া পর্যন্ত বাতিল করতে পারবেন না। তবে যদি হাইকোর্ট কোনও শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন, সেই শর্ত ভঙ্গ করলে জামিন বাতিল করা যাবে।
আইনজীবীরা বলছেন, আদালতের রায়ে উল্লেখিত এসব নির্দেশনার ফলে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি কমবে, নিম্ন আদালতের বিচারকগণও স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এসব নির্দেশনা মেনে কাজ করবেন। আগে বিভিন্ন মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনের মেয়াদ বর্ধিত না হওয়ায় জামিনের কোনও অপব্যবহার না করলেও আসামিদের জেলে যেতে হতো। এ রায়ের ফলে বিচারপ্রার্থীদের আর সে ভোগান্তি থাকলো না।