দিনাজপুর বিরল উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে বন্ধ
এনামুল মবিন(সবুজ),জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুরঃ দিনাজপুর বিরলে অস্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বিরল থানা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কনের বাবা মা গাঁ ঢাকা দেয়ায় জেল জরিমানার থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে জানা গেছে।
বিরল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াজেদ সংবাদ পেয়ে উপজেলা মহিলা অধিদপ্তর ও বিরল থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নিদের্শ দেন।
উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি হিসাবরক্ষণ কাম ক্রেডিট সুপার ভাইজার পরেশ চন্দ্র, প্রশিক্ষক লুৎফর রহমান ও বিরল থানার এসআই নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ নাবালিকা মুন্নী আকতার এর বাড়িতে যায়।
মুন্নী আকতার বিরল আদর্শ স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী । বিরল উপজেলা প্রশাসনের খবর টের পেয়ে কনের বাড়ীতে আসা অতিথিরাও মুহুর্তের মধ্যে সরে পরেন। নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিবে না মর্মে কনে পক্ষ মুচলিকা দেওয়ার পর পুলিশ বিয়ে বাড়ীর প্যান্ডেল অপসারণ করেন।
বিরল উপজেলা প্রশাসন বরের বাড়ীতে গেলে বাড়ী তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখে বাড়ীর আশপাশের লোকজনকে ওই বিয়ে না করার জন্য সতর্ক করে আসে।
বিরল উপজেলার পৌর শহরের নয়ামেলা গ্রামের মোঃ মাসুদ রানার অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া কন্যা মোছাঃ মুন্নী আকতার(১৪) এর সহিত ৫ নং বিরল ইউয়িনের দুলহরী গ্রামের মোঃ মোজ্জাম্মেল হকের ছেলে মোঃ সাজ্জাদ হোসেন(২৫)এর বিয়ে ঠিক করেন দুই পক্ষের অভিভাবকরা।
বর ও কনের গায়ে হলুদ দেওয়াসহ সোমবার ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে কনের বাড়ীতে আসার কথা ছিল বর সাজ্জাদ হোসেনের। বিরল উপজেলা প্রশাসন নাবালিকা মেয়ের আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হচ্ছে জানতে পেয়ে পুলিশ নিয়ে কনে ও বরের বাড়ীতে হাজির হয় প্রশাসন।