অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর রেজিস্ট্রেশন শীঘ্রইঃতথ্যমন্ত্রী
সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা শনাক্ত ও চিকিৎসা বিষয়ে জেকেজি ও সাহেদের দুর্নীতি এবং প্রতারণা সরকারই উদঘাটন করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। পত্রিকার রিপোর্ট বা অন্য কেউ অভিযোগের আঙুল তোলার পরে ব্যবস্থা নেয়নি, সরকার নিজেই এখানে অনিয়ম খতিয়ে দেখার পরিপ্রেক্ষিতেই বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, জেকেজির প্রধান নির্বাহী এবং চেয়ারম্যান দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে, সাহেদের দুটি হাসপাতাল সিলগালা করা হয়েছে, মামলা হয়েছে। সাহেদকে গ্রেফতার করতে পারবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে বলা হয়েছে। এরপর নানাজনে নানা বক্তব্য দিচ্ছেন, বিএনপিও মুখ খুলছে। কিন্তু এগুলো সরকারই উদ্ঘাটন করেছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এদের সংশ্লিষ্ট করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনীয়তা ছিল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরপরই মুজিববর্ষের সব আনুষ্ঠানিকতা ও আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে যা যা করা প্রয়োজন সবকিছুই সরকার শুরু থেকেই করে এসেছে এবং মানুষের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দিন-রাত কাজ করে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন। সরকারের এসব প্রচেষ্টার কারণেই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার পৃথিবীতে সর্বনিম্ন দেশগুলোর মধ্যে একটি। ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও আমাদের মৃত্যুহার কম।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বিএনপি’র বিরূপ মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কখন যে বলে বসেন, সরকারের উদাসীনতার কারণে বানের পানি এসেছে আমি সেই শঙ্কার মধ্যেই আছি।’ তিনি বলেন, কিছু দিন আগে এই করোনার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল এবং সেটি সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করার মাধ্যমে মানুষের জান-মাল-সম্পদ রক্ষা করা হয়েছে, পুনর্বাসন করা হয়েছে ও কাজ চলছে। বন্যার ক্ষেত্রেও সরকার ইতোমধ্যে অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে। বিএনপি শুধু ঘরে বসে বসে মায়াকান্না দেখায়, কিন্তু জনগণের জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করে না। তাদের রাজনীতিটা হচ্ছে টেলিভিশন আর সংবাদ সম্মেলন কেন্দ্রিক।
এসএসসি পাস সাহেদ কীভাবে পত্রিকার ডিক্লারেশন পেয়েছে এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পত্রিকার ডিক্লারেশন ডিসি অফিস থেকে নিতে হয় এবং ডিক্লারেশন পাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। সাহেদ পত্রিকার ডিক্লারেশন নিলেও সেই পত্রিকা বের করেছে কিনা, সেটি ডিএফপি (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর) খতিয়ে দেখছে। এক্ষেত্রে যদি কোনও অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে আমি মনে করি, একজন প্রতারকের হাতে পত্রিকার ডিক্লারেশন থাকবে কিনা—সেটি বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।