আগমনী ডেস্কঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে নবীন শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের নবীন কর্মীদের ‘ম্যানার শেখানো‘ নিয়ে  হাতাহাতিতে জড়িয়েছে শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ।সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে হলের গণরুমে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতির এই ঘটনা ঘটে।পরে হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নাজমুল হাসান ও সাহিত্য সম্পাদক মো. ফাহিম হাসানের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।

‘গেস্টরুম করানো’ হচ্ছে ‘ম্যানার শেখানো‘র একটি কর্মসূচি। সাধারণত হলের ‘গেস্টরুম’ বা অতিথিকক্ষে সিনিয়র নেতা-কর্মীরা জুনিয়রদের ‘ম্যানার’ শেখান বলে এর নাম ‘গেস্টরুম করানো’।তবে কখনো কখনো গণ রুম বা হলের অন্য কোনো কক্ষেও ‘গেস্টরুম করানো’ হয়। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির মুখোমুখি হতে হয়।

হাতাহাতির সময় ঘটনাস্থলে থাকা দুই শিক্ষার্থী বলেন, লেখক ভট্টাচার্যের পক্ষের নেতাকর্মীরা সাধারণত রাত সাড়ে ৮টায় ‘গেস্টরুম’ করালেও সোমবার সেই সময় পরিবর্তন করে সাড়ে ১০টায় ‘গেস্টরুম’ করান। কিন্তু ওই সময়টিতে বিজয় একাত্তর হলে আল নাহিয়ান খানের পক্ষের নেতাকর্মীরা ‘গেস্টরুম’ করিয়ে থাকেন।

বিজয় একাত্তর হলের ছাত্ররা জানান, সোমবার রাতে আল নাহিয়ানের পক্ষের নেতাকর্মীরা নির্ধারিত সময়ে ‘গেস্টরুম’ করাতে গিয়ে লেখকের পক্ষের নেতাকর্মীদের দেখতে পান। লেখকের অনুসারীরা আল নাহিয়ানের অনুসারীদের ঘণ্টাখানেক বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখলে একপর্যায়ে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে টিভিকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা হাতাহাতিতে জড়ান। লেখকের অনুসারীরা রড ও স্ট্যাম্প নিয়ে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিলেও ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হল সংসদের জিএস নাজমুল হাসান ও সাহিত্য সম্পাদক মো. ফাহিম হাসানের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ বিষয়ে বিজয় একাত্তর হল সংসদের জিএস নাজমুল হাসান বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। তবে ‘গেস্টরুম করানো’ নিয়ে নয়, বরং টিভি দেখা নিয়ে দুই পক্ষের কর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।এ নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।