অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে এমপি পাপুলের বিচার শুরু

সেপ্টেম্বর ১৮ ২০২০, ০৯:৩৪

Spread the love
আগমনী ডেস্কঃঅর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে                                         গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ নয়জনের বিচার শুরু হয়েছে। তার কাছ থেকে ‘ঘুষ নেওয়ার’ কারণে বিচারের মুখোমুখি কুয়েতের দুজন এমপি সাদুন হাম্মাদ আল-ওতাইবি ও সালাহ আবদুলরেদা খুরশিদও। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল মাজেন আল-জাররাহও। কুয়েতের পাবলিক প্রসিউকিশনের বরাতে আরবি দৈনিক আল-কাবাস ও আল-রাই জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার, অর্থ পাচার, ঘুষ দেওয়া এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।

‘মারাফি কুয়েতিয়া’ নামের কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের কুয়েতে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশনের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানব পাচার, অর্থ পাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তাকে রাখা হয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে। মামলার তদন্তের সময় অভিযুক্ত হিসেবে ১৩ জনের নাম উঠে আসে। এর মধ্য থেকে চারজনকে তদন্তকালে অভিযোগ থেকে বাদ দেওয়া হয়। জামিনে আছেন দুই কুয়েতি এমপি এবং একজন পলাতক আছেন।

কুয়েতি কর্মকর্তাদের কীভাবে কত টাকা ঘুষ দিয়েছেন, সে বিষয়ে রিমান্ডে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশের এই এমপি, যা প্রসিকিউটরদের বরাতে প্রকাশ করছে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। সেখানে নাম আসায় কুয়েতের দুই এমপির বিরুদ্ধেও পাপুলকে বেআইনি কাজে সহযোগিতা এবং অর্থ পাচারে জড়িত থাকার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে। সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কুয়েত গিয়ে বিশাল সাম্রাজ্য গড়া পাপুল ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সদস্য নির্বাচিত হন। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রী সেলিনা ইসলামকেও সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য করে আনেন তিনি। তার মালিকানাধীন মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানি পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেওয়ার কাজ করলেও কুয়েতে অন্যান্য ব্যবসার কাজও বাগিয়েছিলেন পাপুল। এর আগে গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছিল, ‘জেনারেল ট্রেডিং অ্যান্ড কন্ট্রাক্টিং’ নামক লাইসেন্স ছিল পাপুলের, যার মাধ্যমে শিশুদের খেলনা থেকে শুরু করে অ্যানটিক কার্পেটের ব্যবসাও তিনি করতে পারেন। পাপুল ও তার কোম্পানির ব্যাংক হিসাব ইতোমধ্যে জব্দ করেছেন কুয়েত কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ২২ জুলাই দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পাপুলের স্ত্রী স্বতন্ত্র এমপি সেলিনা ইসলাম বলেছিলেন, কুয়েতে পাপুলের প্রতিষ্ঠানে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে। সে প্রতিষ্ঠানে কাজ করে দেশের বহু শ্রমিক কোটি কোটি টাকার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে

সেখানে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রের কারণে কুয়েতে তিনি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। মূলত পাপুল ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এসব করা হচ্ছে। আমাদের কোনো গোপন সম্পদ নেই, অবৈধ সম্পদও নেই। যা আছে তার বিবরণ দুদককে দিয়েছি।

 

 

 

 

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও