এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, “আজকে জনগণকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এ জাতীয় বাধা দেওয়ার কারণে কী হয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতগুলো কাজ আপনি করছেন ক্রমেই তা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। যেমন ধরেন- সদ্য নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে যে আইনের সংশোধনী এনেছেন- ফাঁসি। এই ফাঁসি দিয়ে পৃথিবীর কোথাও কোনো পরিবর্তন হয় নাই। এটা মধ্যযুগীয় শাস্তি।তিনি আরও বলেন, আপনারা পত্রিকা খুলে দেখেন, এই আইন করার আগে ও পরে একফোঁটাও অপরাধ কমেনি। বরং বেড়েছে। এখন বাড়তে বাড়তে শিশুর ওপরই হচ্ছে, স্কুলে হচ্ছে, মাদ্রাসায় হচ্ছে। এতো বড় ভুল কি করে উনি (প্রধানমন্ত্রী) করলেন?

ভারতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আজকের পত্রিকায় আছে- ভারত আমাদের কতটা লুণ্ঠন করেছে। গত ২০১৮ সালে ভারত বাংলাদেশ থেকে পেয়েছে ১২৮ বিলিয়ন ডলার। আর সারা মুক্তিযুদ্ধে উনাদের খরচ ১০০ মিলিয়নও হয় নাই।

“আজকে দেখলাম তোফায়েল (তোফায়েল আহমেদ) সাহেব বলেছেন, ‘আমার আর কিছু পাওয়ার নাই। বঙ্গবন্ধুর স্নেহ পেয়েছি’।এটা উনার আক্ষেপের কথা। তার মতো লোক হাসিনার পাশেই থাকা উচিত। দলের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী আলাপ করেন না, আমাদের সাথে আলাপ করবে কেন?”

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আটক দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক আবুল আসাদ ও সদ্য গ্রেপ্তার হওয়া ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর প্রসঙ্গ টেনে জাফরুল্লাহ বলেন, শুধুমাত্র কথা বলার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবুল আসাদকে একবছর যাবত আটকে তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। অথচ যারা যারা লক্ষ-কোটি টাকা পাচার করেছে তাদের জামিন আগেই হয়ে যায়। এটা কি গণতন্ত্র হতে পারে?