ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে নূপুর থাকতো লাখ টাকা ভাড়ার ফ্ল্যাটে

ডিসেম্বর ১০ ২০২০, ১৪:০৪

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ  ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকার হাতিরঝিল থানা পুলিশ। ওই চক্রের নেতৃত্বে ছিল পারভীন আক্তার নূপুর নামে সপ্তম শ্রেণি পাস এক নারী।তেজগাঁওয়ের গ্রামীণফোনের সার্ভিস সেন্টারে কর্মরত রুবেল মাহমুদ অনিক নামের এক কর্মীর সহযোগিতায় সার্ভার থেকে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করার পর তাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করতো।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দৃশ্যমান কোনও পেশা না থাকলেও সপ্তম শ্রেণি পাস নূপুর থাকে গুলশানের নিকেতনে। তার ফ্ল্যাট ভাড়া মাসে লাখ টাকা। তার মেয়ের স্কুলের বেতন প্রতিমাসে প্রায় ১০ হাজার টাকা। সে বনানীর ১১নং রোডের ই-ব্লকের গ্রিন ডিলাক্স হাউজ নামের একটি জিমে নিয়মিত যায়। সেখানে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা বিল দেয়। গুলশান থানায় সে একবার অভিযোগ করেছিল যে তার ৬টি লিপস্টিক চুরি হয়েছে, যেগুলোর দাম ৯০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘চক্রটির নেতৃত্বে রয়েছে পারভীন আক্তার নূপুর। চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যক্তিকে টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে। তার টার্গেট ছিল মূলত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা। টার্গেট করা ব্যক্তির সব ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে পরিবারের সব সদস্যকে জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পাঁচ লাখ থেকে শুরু করে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছে সে।’

জানা গেছে, এমনকি ভুয়া আইনজীবীর মাধ্যমে ফোন করে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণ মামলার হুমকি দিয়ে ভয় দেখানো হয়। এই চক্রকে টার্গেট করা ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করে গ্রামীণফোনের সার্ভিস সেন্টারের কর্মী রুবেল মাহমুদ অনিক। চক্রের প্রধান পারভীন আক্তার নূপুর, তার বোন শেফালি বেগম, গ্রামীণফোনের কর্মী রুবেল মাহমুদ অনিক এবং নূপুরের সহযোগী শামসুদ্দোহা খান বাবু নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপরই বেরিয়ে এসেছে এ ধরনের ভয়ঙ্কর প্রতারণার নানা তথ্য।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও