আগামী সপ্তাহে শিক্ষকদের টিকা দেয়া হবে,এরপর স্কুল-কলেজ খোলা হবেঃশিক্ষামন্ত্রী

ফেব্রুয়ারি ১২ ২০২১, ১৩:০১

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ  শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি  বলেছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে অনাবাসিক ও আবাসিক শিক্ষকদের করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে। সে জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষকদের টিকা দিয়ে স্কুল-কলেজ খোলা হবে। ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে প্রথম ভাইস-চ্যান্সেলর’স অ্যাওয়ার্ড প্রদান ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি অর্জন করে চাকরির পেছনে ছুটতে শুরু করে। মনে হয় যে তারা চাকরি পাওয়ার জন্য পড়ালেখা করে, সেটি তাদের একমাত্র লক্ষ্য। এ ধারণা থেকে আমাদের শিক্ষার্থীদের বের করে আনতে চাই। এ জন্য অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি নিয়ে যেন বের হওয়ার সঙ্গে তাদের দক্ষ, জ্ঞান ও মানবিকতা নিয়ে বের হতে পারে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশের ২৮ লাখ শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা ভাবতে হবে। আমাদের অর্থনীতিতে অদক্ষ ডিগ্রিধারীদের চাহিদা আছে কিনা তা নিয়ে দেখতে হবে।

তিনি বলেন, সবার জন্য উচ্চশিক্ষার দ্বার খোলা রাখতে হবে। কায়িকশ্রম বিশিষ্ট শিক্ষা ও দক্ষ প্রদান করা আমাদের বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ১৫টি শীর্ষস্থানীয় উন্নয়ন সংস্থার ‘নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ, বাংলাদেশে ইউনিসেফের উপ-প্রতিনিধি ভিরা মেন্ডোনকা এবং বাংলাদেশস্থ কানাডার হাইকমিশনের হেড অব ডেভেলপমেন্ট এ্যাসিট্যান্স ফেদ্রা মুন মরিস।

ইউনিসেফের উপ-প্রতিনিধি ভিরা মেন্ডোনকা মহামারির মধ্যে শিশুদের জন্য স্কুলকে সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হিসেবে নিশ্চিতে উন্নয়ন সংস্থা এবং সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনার পাশাপাশি সরকারকে এটাও ভাবতে হবে যে, মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদেরে ঝরে পড়া ও বাল্যবিয়ের হারও বেড়েছে। ফলে এই পরিস্থিতির উন্নয়নে কীভাবে কাজ করা যায় তা বের করা জরুরি।’

শিক্ষক ও শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকাদানের সরকারি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশস্থ কানাডার হাইকমিশনের হেড অব ডেভেলপমেন্ট এ্যাসিট্যান্স ফেদ্রা মুন মরিস।

সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের পরিচালক (প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি) রিফাত বিন সাত্তার এই ক্যাম্পেইনের পটভূমি এবং বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোকপাত করেন। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোরশেদ। ওয়ার্ল্ড ভিশনের পরিচালক টনি মাইকেল অনুষ্ঠানটি সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন।

গত ১০ মাস স্কুলে না যেতে পারার বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠানে অভিজ্ঞতা বিনিময় করে জাতীয় শিশু টাস্কফোর্সের শিশুরা। তারা উন্নত ভবিষ্যৎ এবং অধিকতর মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে স্কুল খুলে দেয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মত প্রকাশ করে।

‘নিরাপদে ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য হলো সরকারকে সহায়তা করা, যাতে শিশু, পরিবার, অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

 

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও