স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দীতে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি

ফেব্রুয়ারি ২৪ ২০২১, ২০:৩২

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আগামী ৩০ মার্চ ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এ ছাড়া বছরব্যাপী রক্তদান কর্মসূচিসহ মার্চ মাসে ১৯ দিনের কর্মসূচির ঘোষণাও দিয়েছে দলটি।

আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন।

খন্দকার মোশাররফ বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক। সুবর্ণজয়ন্তীতে বিএনপির বছরব্যাপী কর্মসূচি পালনের সূচি তৈরি করেছে।

প্রতি মাস শেষ হওয়ার আগে পরবর্তী মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মার্চ মাসের ঘোষিত কর্মসূচি হচ্ছে— ১ মার্চ সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচির উদ্বোধন, ২ মার্চ ছাত্রসমাজ কর্তৃক স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন শীর্ষক আলোচনা সভা, ৩ মার্চ ছাত্রসমাজ কর্তৃক স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ শীর্ষক আলোচনা সভা, ৭ মার্চ আলোচনা সভা, ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালন, ৯ মার্চ সেমিনার, ১০ মার্চ রচনা প্রতিযোগিতা, ১৩ মার্চ বছরব্যাপী রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন, ১৫ মার্চ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ২০ মার্চ আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ক সেমিনার, ২২ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ, জেড ফোর্স এবং বীরউত্তম জিয়াউর রহমান শীর্ষক সেমিনার, ২৩ মার্চ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মেলা, ২৪ মার্চ নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে স্বৈরাচারী এরশাদের জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল শীর্ষক সেমিনার, ২৫ মার্চ কালো রাত্রি শীর্ষক আলোচনা সভা, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ, শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ, রক্তদান কর্মসূচি, সারাদেশে র‌্যালি, ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গমন ও বগুড়ায় বাগবাড়ি গমন এবং দুইখানে আলোচনা সভা, ২৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, ৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সুবর্ণজয়ন্তী মহাসমাবেশ ও ৩১ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীর উদ্বোধন।

ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে আমরা এদেশের দলমত নির্বিশেষ সকল পেশার সকল জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি তারা যেন অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং গুরুত্বের সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেন যার যার অবস্থান থেকে। কারণ এই স্বাধীনতা এদেশের জনগণের প্রস্ফুটিত স্বাধীনতা, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, এদেশের জনগণের জন্য জনগনের স্বার্থে এই স্বাধীনতা। তাই আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সকলে মিলে উদযাপন করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এসব অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠুভাবে যেন করতে পারি তার জন্য আমরা সহযোগিতা চাইব। তেমনিভাবে আমরা সরকারের কাছেও সহযোগিতা চাই যেন আমরা এই পঞ্চাশ বছর পূর্তির এই যে আমাদের আবেগ, আমাদের যে উচ্ছ্বাস সেটা যেন নির্বিঘ্নে সুন্দরভাবে পালন করতে পারি।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও