রূপগঞ্জে দুই পরিবারের দ্বন্ধে পরকীয়া প্রেমিক ৯ম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যা
রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পরকিয়ার সংক্রান্ত বিষয়ে দুই পরিবারের দ্বন্ধের জেরে মেহেদী হাসান মুন্না (১৪) নামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ মে শনিবার রাতে উপজেলার গোয়ালপাড়া এলাকায়।মুন্না ঐ এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে ছিল।
আত্মহত্যাকারী মুন্নার মামা আইনজীবি মঞ্জুর হোসেন জানান, তার ভাগনে মেহেদী হাসান মুন্না ইউসুফগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র থাকাবস্থায় মোবাইল ফোনে বাগবের গ্রামের প্রবাসী কবির মিয়ার স্ত্রী ৫ বছরের এক ছেলে সন্তানের জননী তানজিলার (২৪) সঙ্গে পরকিয়ার জড়িয়ে যায় এবং তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে প্রথমে ছেলের পক্ষ থেকে থানায় অপহরন মামলা দায়ের করা হয়। পরে মেয়ে পক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাল্টা মামলা হলে উভয় পরিবারের মাঝে তীব্র বিরোধ দেখা দেয়। সম্প্রতি ওই মামলায় পুলিশের নিকট আটক হলে মেহেদী হাসান মুন্না বিগত ১ মাস জেল হাজতের কিশোর সংশোধন সেন্টারে থাকে। পরে বিজ্ঞ আদালত মুন্নাকে তার মা মমতাজের হেফাজতে জামিন দেন।
এর পর গত ২০ রমজান বাড়িতে ফিরে এলে সমাজের কারো সাথে কথা না বলে লজ্জায় ঘরে মধ্যেই সময় কাটাতো মুন্না। কিন্তু ১৫ মে শনিবার রাতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার নিজ ঘরে দরজা আটকিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে মুন্নার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দীন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। মেহেদী হাসান মুন্নার মৃত্যুর পেছনে কারো প্ররোচনা থাকলে বাদী পক্ষের অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।