গানের টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে বাউল শিল্পীকে গণধর্ষণ গ্রেফতার ২

অক্টোবর ১২ ২০১৮, ১৯:০৫

Spread the love

আশুলিয়ায় এক বাউল শিল্পীকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

বুধবার দুপুরে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় সুজন ভুইয়া ও বাদশা ভুইয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গাজীরচট এলাকার ফজল ভুইয়ার ছেলে বাদশা ভুইয়াকে (৪০) আটক করেছে। তবে মামলার প্রধান আসামি গাজীরচট এলাকার এমারত ভুইয়ার ছেলে সুজন ভুইয়া (৩৫) পলাতক রয়েছে।

ধর্ষিতার পারিবারিক সূত্র ও পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাউল গান করতেন। বুধবার দুপুরে তিনি গাজীরচট এলাকায় পাওনা টাকার জন্য আবুল কালাম নামের অপর এক বাউল শিল্পীর দোকানে যায়। এসময় কালাম নারী শিল্পীকে দোকানে বসিয়ে রেখে বাহিরে চলে গেলে সুজন ভুইয়া ৯ বছরের এক শিশু দিয়ে তাকে ডেকে সুজনের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে একটি কক্ষের ভেতরে ওই শিল্পীকে আটকে রেখে তার উপর চালায় পাশবিক নির্যাতন। এরপর বাদশা নামের আরেক ব্যক্তি ভয় দেখিয়ে ওই শিল্পীকে তার বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবারো ধর্ষণ করে। এরপর বাদশা ও সুজন বাউল শিল্পী কালামকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে মারধর করে এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়।

এছাড়াও এ বিষয়ে কাউকে জানালে তাকে ইয়াবা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার হুমকিও দিয়ে সন্ধ্যার দিকে দুই বাউল শিল্পীকেই মারধর করে ছেড়ে দেয় বখাটেরা। এ ঘটনায় ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ বাদশা ভুইয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ধামসোনা ইউনিয়নের মেম্বর ও বাদশা ভুইয়ার ভাই মইনুল হোসেন ভূইয়া বলেন, আমার ভাই মারধর করছে, কোন ধর্ষণ করেনি।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক দিপু বলেন, অভিযোগ নেওয়ার পর ওই নারীকে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও