করোনায় আইভারমেকটিন ও ডক্সিসাইক্লিন,ডা. তারেক আলমের ব্যবস্থাপনাপত্রের গবেষণা করছে ICDDRB
আগমনী ডেস্ক: আইভারমেকটিন ও ডক্সিসাইক্লিন এর সমন্বয়ে করোনা চিকিৎসায় ডা. তারেক আলমের ব্যবস্থাপনাপত্রের গবেষণার অনুমতি চেয়েছে ICDDRB । যুক্ত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কাজ করা দেশি বিদেশি ১০ জন গবেষক। ঢাকার ৪টি করোনা হাসপাতালে এই গবেষণার অনুমতি চেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।কুয়েত মৈত্রী, কুর্মিটোলা হাসপাতাল এবং ঢাকা ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে গবেষণার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ায় গবেষণার ফল পেতে এক মাসের বেশি সময় লাগবে না।
ডা. তারেক আলম ৬০ জন রোগীকে আইভারমেকটিন ও ডক্সিসাইক্লিন সমন্বয়ে চিকিৎসা দিলে তাদের ৪ দিনে করোনা থেকে মুক্তি মেলে, তার ব্যবস্থাপনাপত্র সীমিত আকারে প্রয়োগে সুফল মিলেছে এমনটাই দাবি করেন তিনি। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে সহস্রাধিক রোগীর ওপর প্রয়োগে সুফল মেলার দাবি করা হয়েছে। এই ডোজ প্রয়োগ করছে আরো কিছু হাসপাতাল।
ডিএমসি ডা. মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘একটা গ্রুপকে আইভারমেকটিন দিব, আরেকটা গ্রুপকে আরেকটা দিব। এরপর তৃতীয় পক্ষ বৈজ্ঞানিকভাবে অ্যানালাটিক্স করে দেখবেন কোন গ্রুপের রোগীরা বেশি রেসপন্স করেছে।’কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক আহমেদ লুৎফুল মুবীন বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রচুর রোগী। খুব বেশি সময় লাগার কথা না। মাস খানেকের মধ্যে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাতে পারবো।
বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ(বিএমআরসি) বলছে, গবেষণার আবেদনে আইভারমেকটিনের পাশাপাশি সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা বাতিল হওয়া হাই্ড্রোক্সিক্লোরোকুইনের নাম থাকায় আবেদনটির রিভিউ কপি চেয়েছেন তারা।বিএমআরসি পরিচালক মাহমুদ উজ জাহান বলেন, ‘আমরা ওনাদের কাছে একটা আবেদন করেছি। তাদের আবেদনটির রিভিউ কপি চেয়েছি। কমিটি দেখে তারপর জানাবে।’
সেক্ষেত্রে বড় পরিসরে ব্যবহার কিংবা গাইড লাইনে অন্তর্ভুক্ত করার আগে গবেষণার বিকল্প নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।এই গবেষণার ফলাফলের ওপরই নির্ভর করবে করোনার চিকিৎসায় আইভারমেকটিন ও ডক্সিসাইক্লিনের ভবিষ্যত। করা হবে একটি নীতিমালাও।
বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. তারেক আলম বলেন, ‘এই প্রটোকলটি যদি আমরা ৪-৫ সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে যাই, যদি এটি অনুমোদন পেয়ে যায়। তাহলে আইভারমেকটিনটি গাইডলাইনে নিয়ে আসতে পারবো।
অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণায় প্রথম এই দুটি ওষুধের সংমিশ্রন করোনা প্রতিরোধে কাজ করতে পারে বলে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ভারত, সাউথ আফ্রিকা ও তানজেনিয়াও ওষুধ দুটি নিয়ে গবেষণা অনুমতি দিয়েছে।