উন্নয়ন বিরোধী অপশক্তি এখনও সক্রিয়ঃওবায়দুল কাদের

আগস্ট ১৪ ২০২০, ২৩:২১

Spread the love
আগমনী ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উন্নয়ন বিরোধী অপশক্তি এখনও সক্রিয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছেন দেশের সমৃদ্ধ আগামী বিনির্মাণের অগ্রযাত্রা এগিয়ে যাবেই।

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৫ টায় নগর ভবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিষ্ঠুরতা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। জগতে আর কোনও হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, ‘অবলা নারী’কে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে। সে সময় বিদেশে ছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে যান আমাদের আশার বাতিঘর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। সেদিন তারা বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজকে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। হয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার। কলঙ্কমুক্ত হয়েছে দেশ।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ এবং পরবর্তীতে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ১৫ আগস্টের প্রধান টার্গেট ছিল আমাদের ভৌগলিক মুক্তির স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একুশে আগস্টে প্রধান টার্গেট ছিল আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্থপতি শেখ হাসিনা। দু’টি ঘটনার কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এখনও চলছে।

যারা কথায় কথায় গুম-খুনের কথা বলেন, মানবাধিকারের বুলি আওড়ায় তারাই অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে ২০০২ সাল থেকে ২০০৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ৯৭ জনকে হত্যা করেছিলো। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলো তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

কাদের বলেন, বিএনপি আজ দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছে। অথচ বিএনপি এবং দুর্নীতি সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে। তাদের সময়ের দেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ঢাকায় বসে গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করা, নেতিবাচকতার বিষবাষ্প এবং গুজব ছড়ানোই এখন তাদের রাজনীতির মূল হাতিয়ার। শেখ হাসিনা অপরাধীদের বিচারের বেলায় কোনও দলীয় পরিচয় দেখেননি। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করেছেন। নিজের দলের কর্মীদেরও তিনি ছাড় দেননি। তিনি প্রমাণ করেছেন দলীয় পরিচয় স্বার্থরক্ষার ঢাল হতে পারে না।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সিইও ইমদাদুল হক।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও