গরু চুরির অভিযোগে রশি দিয়ে বাঁধা দুই মেয়েসহ মায়ের জামিন
আগমনী ডেস্কঃকক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় গরু চুরির অভিযোগে নির্যাতনের শিকার মা ও দুই মেয়ের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চকরিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার দেব এই আদেশ দেন। জামিন প্রাপ্তরা হলেন, চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আবুল কালামের স্ত্রী পারভীন আক্তার, তার মেয়ে সেলিনা আক্তার ও রোজিনা আক্তার।
জামিন মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নির্যাতিত পারভীন আক্তারের আইনজীবী ইলিয়াছ আরিফ। তিনি বলেন, পুলিশ সোমবার সকালে মা পারভীন আক্তার ও মেয়ে সেলিনা আক্তারকে আদালতে উপস্থিত করেন। এসময় আদালত মা-মেয়েসহ তিনজনকে আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন দেন। অন্য দুই আসামীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
চকরিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বলেন, রোববার সন্ধ্যায় ঘটনাটি তুলে ধরে চকরিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রাজিব কুমার দেবের আদালতে আসামীদের জামিনের জন্য প্রার্থনা করেন অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ আরিফের নের্তৃত্বে একদল আইনজীবী।
এ সময় আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব আসামীদের আদালতে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেন।
এদিকে সোমবার এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনলে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের একটি গ্রামে গরু চুরির অভিযোগে মা, দুই মেয়ে, এক ছেলেসহ ৫ জনকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় নজর রাখছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, এ ঘটনা তদন্তে গাফিলতি হলে আমরা বিষয়টি দেখবো।
আদালতে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন আইনজীবী জেসমিন সুলতানা ও জামিউল হক ফয়সাল।
মা-মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরানোর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে গত শনিবার (২২ আগস্ট) থেকে এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই ভিডিওতে উৎসুক জনতা রশি দিয়ে বেঁধে মারতে মারতে নিয়ে যেতে দেখা যায়। এ সময় ভিডিওটিতে ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদারকেও দেখা গেছে।
এর আগে শুক্রবার (২১ আগস্ট) গরু চুরির অভিযোগে মা-মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে মারতে প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরিয়েছে স্থানীয় অতি উৎসাহী লোকজন। পরে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পরে গরুর মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. মাহবুবুল হকের দায়ের করা মামলায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।