দিনাজপুরে খাদ্য অধিদপ্তরের ধান-চাল সংগ্রহ ব্যর্থ,১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি

মার্চ ০৩ ২০২১, ১৯:৩৩

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ খাদ্য শষ্যের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত  দিনাজপুর জেলায় এবারে আমন মৌসুমে খাদ্য বিভাগের ধান-চাল সংগ্রহের অভিযান ব্যর্থ হয়েছে।

ধান-চাল সংগ্রহের শেষ তারিখ ছিলো চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। তবে খাদ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে। চারটি উপজেলায় কিছু ধান-চাল সংগ্রহ হলেও হাকিমপুর এবং বিরামপুর উপজেলা লক্ষ্য মাত্রার ধারের কাছেও যেতে পারেনি। খোলা বাজারে ধান চালের দাম বৃদ্ধি থাকায় এই চার উপজেলার খাদ্য বিভাগকে কৃষকরা এবং মিলাররাও চাল দেননি বলে অভিযোগ খাদ্য বিভাগের।

হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা যোসেফ হাসদা জানান, এবার আমন মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলার জন্য আমন চাল (সিদ্ধ) ২৭৯ মেট্রিক টন, আমন চাল (আতপ) ৫৩ মেট্রিক টন এবং আমন ধান ৩৮০ মেট্রিক টন ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় খাদ্য বিভাগ। কিন্তু এখন পর্যন্ত খাদ্য বিভাগের নিবন্ধিত ১২ মিলের মধ্যে ৭টি মিল তাদের চাল দেওয়ার লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করতে পেরেছে। এখন পর্যন্ত এই উপজেলাতে আমন চাল (সিদ্ধ) ৬৫ মেট্রিক টন ৮৫০ কেজি, আমন চাল (আতপ) ২৭ মেট্রিক টন ৫০ কেজি এবং আমন ধান ১ মেট্রিক টন কিনতে সক্ষম হয়েছে। খোলা বাজারে ধান চালের দাম বেশি থাকার কারনে কৃষকরা খাদ্য বিভাগকে ধান-চাল দিচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।

বিরামপুর উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা রবিউল আলম জানান, আমন মৌসুমে এই উপজেলাতে আমন চালের (সিদ্ধ) লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ১ হাজার ৯শ ৪৪ মেট্রিক টন এর বিপরীতে অর্জন হয়েছে ১২ মেট্রিক টন ১৫০ কেজি, আমন চাল (আতপ) লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ১১৫ মেট্রিক টন এর বিপরীতে ২৯ মেট্রিক টন ৩৫০ কেজি অর্জন হয়েছে এবং আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ৮৩২ মেট্রিক টন এর বিপরীতে অর্জন হয়েছে ৮০০ কেজি। এই উপজেলাতে মোট ১৭ টি মিল চুক্তিবদ্ধ করেন এর মধ্যে একটি আতপ। ১৭টি মিলের মধ্যে ১৪টি মিল চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে সময়সীমা বৃদ্ধির কারনে ব্যর্থ মিলগুলো চাল দিবেন বলে আসা করেন এই কর্মকর্তা।

নবাবগঞ্জ উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা হালিমুর রহমান জানান, আমন মৌসুমে নবাবগঞ্জ উপজেলার জন্য আমন ধান (সিদ্ধ) ১ হাজার ৭শ ৫৯ মেট্রিক টন এবং আমন ধান ৯৫৯ মেট্রিক টন ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় খাদ্য বিভাগ। সেই সাথে ২৭টি মিলের সাথে চুক্তিবদ্ধ করেন খাদ্য বিভাগ। তার মধ্যে ২২টি মিল মালিক তাদের লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হলেও ৫টি মিল তাদের লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করতে পারেনি। এই উপজেলাতে আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহ হয়েছে ৪৫৯ মেট্রিক টন ৭৭০ কেজি, ধান ১২৮ মেট্রিক টন ৫২০ কেজি। তিনি আরো জানান, খাদ্য বিভাগের নির্ধারণ করা দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা এবার ধান বিক্রয় করতে রাজি হয়নি।

ঘোড়াঘাট উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আতোয়ার হোসেন জানান, এবার আমন মৌসুমে ঘোড়াঘাট উপজেলাতে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এই উপজেলাতে আমন ধান ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ৫১৯ মেট্রিক টন তার বিপরীতে অর্জন হয়েছে ৪৩৫ মেট্রিক টন, আমন চাল ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা ছিলো ২২৫ মেট্রিক টন এর বিপরীতে অর্জন হয়েছে ৮৫ মেট্রিক টন ৭২০ কেজি এবং আমন চাল (আতপ) ৬ মেট্রিক টন ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছে। খাদ্য বিভাগ থেকে নিবন্ধিত মিলার সংখ্যা ১৭টি এর মধ্যে ১৬টি আমন সিদ্ধ চালের এবং ১টি আতপ চালের জন্য। তার মধ্যে ৬টি মিলার চাল দিতে পারেনি। তিনিও জানান, ধান-চালের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরাও ধান-চাল বিক্রি করেনি।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও