বিদেশি পর্যটকদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা গড়ে তুলতে কক্সবাজার ডিসি’র নিকট অনুরোধ
আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি সংরক্ষিত এলাকা গড়ে তুলন। চট্টগ্রামে দুইটি, আনোয়ারায় একটি ইপিজেড, মিরসরাই-সীতাকুণ্ডে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, মাতারবাড়ী, কর্ণফুলীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প, শিল্পকারখানা, বিদেশি এনজিওতে প্রচুর বিদেশি কাজ করছেন। ঢাকাসহ সারা দেশে প্রচুর বিদেশি কাজ করছেন। তারা ডলার খরচ করেও বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছেন না বললেই চলে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন একটু উদ্যোগী হলে বিদেশিদের জন্য সৈকতে সংরক্ষিত এলাকা গড়ে তুলতে পারে তার প্রমাণ ছবিটি।
ছোট্ট একটি দেশ নেপাল পর্যটন খাতে সারাবছর যে পরিমাণ ডলার আয় করছে তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি আয় করতে পারবে বাংলাদেশ। একজন পর্যটক আসা মানে আবাসিক হোটেলমালিক রুম ভাড়া পাবেন, গাড়িওয়ালা ভাড়া পাবেন, জাহাজমালিক ভাড়া পাবেন, উড়োজাহাজ মালিক ভাড়া পাবেন, সমুদ্রের লবস্টার, মাছ ফ্রাই, আলুভর্তা বেচে ডলার পাবেন, শুঁটকি- স্মারক-কুটিরশিল্পের উদ্যোক্তারা টাকা পাবেন, শিক্ষিত গাইড ডলার পাবে, যে শিশুটি শামুক-ঝিনুকের মালা বেচে সে ক্রেতা পাবে, যে সৈকতে ডাব বেচে সে ক্রেতা পাবে, সরকারও ভিসা ফি, ট্যাক্স পাবে।
শুধু কক্সবাজার নয়, তিন পার্বত্যজেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, চট্টগ্রামের পতেঙ্গা, পারকি, চন্দ্রনাথ পাহাড়, পাহাড়তলীর ইউরোপীয়ান ক্লাব, পটিয়ার প্রীতিলতা ট্রাস্ট, রাউজানে মাস্টারদা সূর্য সেন পল্লী, গুলিয়াখালী সৈকত, সহস্রধারা, সুপ্তধারা, ইকোপার্ক, নাপিতাছড়া ঝরনা এগুলো মিলিয়ে প্যাকেজ দিলে প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের কলকাতা থেকে লাখো পর্যটক পাবে বাংলাদেশ।
পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়ালে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। লাখো বেকারের কর্মসংস্থান হবে ট্যুরিজম সেক্টরে।