ত্রাণ চুরির অমানুষগুলো মানুষ হবে কবে !!
নাঈম ইসলাম:
বাতাসে এখনো হাহাকার এর শব্দ ।কোথাও নতুন আক্রান্তর,কোথাও মৃত্যুর,কোথাও আতংকের,কোথাও অনাহারের আবার কোথাও অনাহারদের ত্রাণ চুরির হাহাকার। আর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা করোনা নামক এ ভাইরাসে এসকল হাহাকারের মিছিল যেন থামছেই না।কালসাপময়ী এ ভাইরাস থেকে একমাত্র বাচার উপায় হচ্ছে ঘর থেকে বের না হওয়া। তাই সরকারি ভাবে অঘোষিত লকডাউনে অনেকেরই জীবন-জীবিকার সামনে রীতিমতো হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব।
বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ এখন কার্যত অচল। সেই সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুরসহ অনেকেই। অথচ এদের একিদিন কাজ না করলে এদের ঘরে আগুন জ্বলেনা,না খেয়েই থাকতে হয় পরিবার নিয়ে।তবে সরকারিভাবে বা বেসরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করছেন অনেকেই। বেসরকারিভাবে কিছুটা সুষ্ঠ বন্টণ হলেও,সরকারের কঠোর অবস্থানের মধ্যেও সরকারিভাবে সহায়তা নিয়ে ববরাবরই কিছু অমানুষগুলো তাদের স্বার্থ উদ্ধারে লুটেপুটে খাচ্ছে এসকল অসহায় অনাহাদের খবারগুলো।
চালচুরি,গমচুরি আর কম্বলচুরি খুজলে অহরহই পাওয়া সম্ভব এ দেশে।তাই বলে এই দুর্দিনে অনাহারে থাকা মানুষগুলোর ত্রাণ চুরি !!
জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে আফসোস করে বলে ছিলেন “সাত কোটি বাঙালির আট কোটি কম্বল আমারটা গেল কই? ”
১৯৭৩ থেকে আজ ২০২০ এরপরেও সেই অমানুষগুলো মানুষ হতে পারলোনা।অসহায় দুস্থ মানুষেদের রক্ত চুষে খেতেই হবে ওদের।ত্রাণের দেয়া চাল,ত্রানের দেয়া অসহায় মানুষদের অনাহারের অন্ন লুটেপুটে নিতেই হবে। কবে মানুষ হবে ওরা!
দেশের এ প্রাদুর্ভাবে অসহায়দের দেয়া সরকারি ত্রাণ চুরির মহা উৎসব দেখা যাচ্ছে পত্রিকার পাতা খুল্লেই।সরকারের কঠোর অবস্থানের মধ্যেও অসহায়দের ত্রাণ চুরি থামছেনা।বিবেকহীনতা এতটাই নিচে নেমে গিয়েছে যে কারো মুখের এক বেলার খাবারটা থাবা মেরে নিতেও একটিবার বুক কাপলো না।ত্রাণ চুরির এ অমানুষগুলো মানুষ হবে কবে !
অথচ অনেকেই নিজের স্বার্থ বিলীন করে অনাহারদের মুখে একমুঠো খাবার তুলে দিচ্ছেন আর তার মধ্যেই খুঁজে পাচ্ছেন আত্মতুষ্টি।আসুন দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সরকারের ত্রাণকার্যক্রমে সহযোগিতা করে সুষ্ঠ বন্টনের মাধ্যমে পৌঁছে দেই অনাহারদের কাছে।আর এসময় ত্রাণ চুরির মানুষরুপি অমানুষগুলোকে প্রতিহত করে শোনার বাংলার অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সুখ-দুঃখের ভাগিদার হই।