লক্ষ্মীপুর মিলেনিয়াম হাসপাতালের ডাক্তারের পিয়ন এখন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার!
জানা যায়, খোরশেদ ইতি পূর্বে লক্ষ্মীপুর মিলেনিয়াম হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোঃ নুরুল ইসলামের চেম্বারে পিয়ন হিসেবে মাসিক দুই হাজার টাকা বেতনে চাকরী করেন। ওই হাসপাতাল থেকে সে বেরিয়ে এসে নিজে ওষুধের দোকান দিয়ে সেখানে চেম্বার বানিয়ে রিতিমত এখন শিশু ডাক্তার সেজে শিশুসহ বিভিন্ন রুগী দেখে যাচ্ছে।
খোরশেদ আলম নিজস্ব প্যাড তৈরী করে ওই প্যাডে আর এমপি ফার্মাসিষ্ট প্রাথমিক চিকিৎসক লেখা থাকলেও তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে এন্টিবায়োটিক ওষুধ ও ইনজেকশন দিচ্ছে রুগীদেরকে। ডাক্তার না হয়েও ডাক্তারে মত সব পরীক্ষা নিরিক্ষা করতে প্যাড ব্যাবহার করে রুগীদের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।
খোরশেদ একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়া দীর্ঘদিন যাবত ডাক্তার না হয়েও ভুয়া ডাক্তার সেজে ওষুধের ব্যবসার অন্তরালে চিকিৎসা দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রাইভেটে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে ভিজিট দিতে হয় ৩ শত থেকে ৫ শত টাকা। খোরশেদ ভিজিট নিচ্ছে ১ থেকে ২শত টাকা।
তাছাড়া পরীক্ষা-নিরিক্ষা বাবদ নিজস্ব পছন্দের ল্যাবে পাঠিয়ে নিচ্ছে বাড়তি টাকা। এসব টাকা রোগী বা তাদের স্বজনদেরকে বহন করতে হচ্ছে। খোরশেদ ভুয়া ডাক্তার সেজে চিকিৎসা সেবার বাণিজ্যতে একাধিক বাড়ী ও সম্পদের মালিক।
সুশীল সমাজ ও সচেতন মহল তার বিরুদ্বে বাবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র্যাবসহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।