রাজধানীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের,আসামি গ্রেফতার
ডিএমপি রমনা বিভাগের নিউ মার্কেট জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক এ লেভেল পরীক্ষা দেয়া ওই তরুণ দাবি করেছেন, মেয়েটি তার পূর্বপরিচিত। বাসার সবাই ঢাকার বাইরে থাকার সুযোগে তাকে ডলফিন গলির তাদের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যান তিনি। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপরই মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাকে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদনে মেয়েটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেয়া হচ্ছে।’নিহতের পরিবার জানায়, গ্রুপ স্টাডির কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সকালে নিজেই তার মাকে জানায়, পড়াশোনার প্রয়োজনে তাকে বাইরে যেতে হবে।
(এসি) আবুল হাসান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ২ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহত আনুশকার বাবা আল-আমিন। মামলায় ইফতেখার ফারদিন দিহানকেই একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তাকে আমরা বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাতেই আটক করেছি, এখন তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আরও তিনজনকে আটকের বিষয়ে এসি আবুল হাসান বলেন, বাকি তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। তাদের ডিজিটাল ডিভাইসগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি। তাদের কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদেরও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এর আগে ঘটনার বিবরণে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলাবাগান থানায় ফোন করে জানায়, এক তরুণ এক কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এনেছেন। কিশোরীর শরীর থেকে রক্ত ঝড়ছে। তখন নিউমার্কেট অঞ্চল পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান ওই তরুণকে আটকে রাখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন।
এরই মধ্যে কলাবাগান থানার পুলিশ আনোয়ার খান হাসপাতালে গিয়ে ওই তরুণকে আটক করে। খবর পেয়ে ওই তরুণের তিন বন্ধু হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাদেরও আটক করে। পরে চারজনকে কলাবাগান থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ পরে স্কুলছাত্রীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।