এতো মাইনষ্যেরে ঘর বানাইয়া দিলো, আমার লইগ্গা কি কোন ঘর-দুয়ার নাই

জানুয়ারি ২৪ ২০২১, ১৫:৪০

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃ ‘ভালা একটা ঘর নাই। আংগো ছাপরা একটা ভাঙ্গা টিনের চালা। ওই চালার নিচে তিনকোনা ৫ পোলা-মাইয়া, বউ-বেডি লইয়া থাহি।বৃষ্টির সময় রাইতে ঘুমাইতে পারি না, বৃষ্টির দিনে চালা দিয়ে পানি পড়ে। ঘরের কাঁথা-বালিশ সবগুন (সব) ভিজ্জা যায়। শীতের দিনো ঘরের ভিত্রে বাতাস ডুহে। এতো মাইনষ্যেরে শেখের বেটি হাসিনা ঘর বানাইয়া দিলো, আমার লইগ্গা কি কোন ঘর-দুয়ার নাই। আমনেরাও তো লেইখখা নিয়া গেলেন? কিছুই ত হইলোনা, আংগো জীবন কি এমনই কাটবো?”

ঠিক এভাবেই নিজের কষ্টের কথাগুলো বলছিলেন চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের গৃহহীন অসহায় জাফর।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙ্গা চালা, ভাঙ্গা বেড়াবিহীন ঘরে ৭ সদস্যের সংসার, চরউমেদ গ্রামের মৃত আমির আলী প্রধানের বড় ছেলে জাফর প্রধানের। শীত কিংবা গ্রীষ্ম, বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানি, শীতে কুয়াশার চাদরে জাফরের বেঁচে থাকা যুদ্ধের মতোই। বছরের পর বছর দারিদ্র্যের কষাঘাতে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন তিনি। এমন একটি জরাজীর্ণ টিনের চালায় বাস করেন অথচ সরকারি একটি ঘরের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি কেউ। বেঁচে থাকার তাগিদে জরাজীর্ণ ভাঙ্গা টিনের চালায় রাতভর ছটফট করে ৫ সন্তানকে নিয়ে থাকতে হয় জাফরকে। মুজিব বর্ষে সরকারি একটি ঘর পাওয়ার আকুতি দিনমজুর জাফর প্রধানের।

স্থানীয়রা জানায়, জাফরের টিনের চালাটি ঝড়-বৃষ্টির দিনে যে কোন সময় ভেঙে পড়বে। আশ্রয়স্থল যদি ঠিক না থাকে তাহলে দিনরাত পার করা খুব মুশকিল। জীবন-যাপন করার জন্য মোটামুটি ভালো আশ্রয়স্থলের একটি ঘর তার খুব প্রয়োজন। এতো মানুষ ঘর, টিন পায় চরের মানুষ কি মানুষ না?

ওই জাফরকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি গৃহ নির্মাণের ব্যবস্থা করে দিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

উল্লেখ্য, মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নে চাঁদপুর জেলায় ১১৫টি ঘরের মাঝে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) মতলব (উত্তর) উপজেলায় ৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও