তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন তার বক্তব্যে সিইসির উদ্দেশ্যে বলেন— সিইসি বর্তমানে প্রধান বিচারপতির চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন। আপনি ইচ্ছা করলে জানোয়ার, লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনার এই লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী আমাদের মিটিং-মিছিল কিছুই করতে দিচ্ছে না। এমনকি বেলা ২টার পর মাইক ব্যবহারের জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু, আওয়ামী লীগ ও তার জোটের শরিকরা নিয়ম-কানুন না মেনে পুলিশের সহায়তায় প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের গুণ্ডাবাহিনী আমাদের ওপর হামলা করছে।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ভাষ্যে, ‘কামাল হোসেন বলেন, আমাদের প্রার্থীদের জীবনের দাম না থাকলেও কর্মীদের জীবনের দাম রয়েছে। তাদেরতো সেভ (রক্ষা) করতে হবে। এ সময় হঠাৎ করেই সিইসি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি কি এমন হয়ে গেছেন যে, পুলিশকে লাঠিয়াল, জানোয়ার বলেছেন? নিজেকে কী মনে করেন?’
তিনি বলেন, ‘এ পর্যায়ে ড. আব্দুল মঈন খান (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) সিইসিকে বলেন, নির্বাচনের কোনো পরিবেশ যদি আপনি সৃষ্টি করতে না পারেন, তাহলে আমাদের সাফ বলে দেন। আমরা আজই প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেব।’