ব্রিফিংয়ে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘এখন থেকে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচন পুরোটাই ইভিএমের মাধ্যমে হবে। তবে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে ভৌগলিক অবস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুতের সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে যাচাই-বাছাই করে যতগুলোতে সম্ভব ইভিএম ব্যবহার করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ব্যবহারের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। এটা একটা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। বিষয়টি তো আরও পাঁচ বছর পরের। তবে এটা হলে অবশ্যই আমরা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার দরকার রয়েছে। এ বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তিন হাজার ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এর মাধ্যমে আমরা দেড় লাখ ইভিএম সংগ্রহ করছি। এটা তো ফেলে রাখার জন্য নয়। জাতীয় নির্বাচনের আগেই এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহেই এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বলেছে যে, সব জায়গায় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। সুতরাং নির্বাচন কমিশনেও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এতগুলো ইভিএম কেন আমরা ব্যবহার করবো না? প্রকল্প যেহেতু নিয়েছি। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে এই ইভিএম সরবরাহ করেছে। এতগুলো লোককে আমরা প্রশিক্ষিত করেছি। আমরা বলেছি যেকোনও নির্বাচনে আমরা এটা ব্যবহার করবো।’
ইসি সচিব বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহার করলে দ্রুত ফলাফল পওয়া যায়। এতে দেশে প্রচলিত যে অনিয়মগুলো হয়, তা আর হবে না। অনিয়ম কমার পাশাপাশি ব্যালট পেপার ব্যবহারেরও দরকার হবে না। ভোটারদের আস্থাটাও বাড়বে।’