নির্বাচনী প্রচারে বিএনপি মহাসুবিধায় আছে,আমাদের তো মুখে কুলুপ লাগানোঃএইচটি ইমাম

জানুয়ারি ০৯ ২০২০, ১৪:২৬

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃনির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে বিএনপি মহাসুবিধায় আছে। তাদের তো সব নেতাই প্রচারে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু আমাদের তো মুখে কুলুপ লাগানো (মুখ বন্ধ)।বুধবার দলটির জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের বিষয়টি বলেন।

আচরণ বিধিমালায় বিধিনিষেধের কারণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অনেক নেতা প্রচারে অংশ নিতে পারছেন না। দলটির এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটের আগে আচরণবিধি সংশোধনের সুযোগ নেই। নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ (এমপি) অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচার ও কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী প্রচারে বিএনপি মহাসুবিধায় আছে বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি আচরণ বিধিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে দলটি।

তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়টি আমিই সামনে এনেছিলাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের চেয়ে বিএনপি অনেক উপরে। তাদের প্রচার কাজ চালাতে বাধা নেই। মন্ত্রী ও এমপি হওয়ায় আমাদের অনেক নেতা প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না।

আচরণবিধি অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যেমন প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও এমপিদের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে বাধা রয়েছে। কিন্তু ঢাকার দুই সিটি ভোটের কার্যক্রমে এমপিদের সম্পৃক্ত করেছে আওয়ামী লীগ।

বিষয়টি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এইচটি ইমাম বলেন, সেটা তো দলীয় কার্যক্রম। নির্বাচনী কার্যক্রম নয়। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচার এখনও শুরু হয়নি।

সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন করেছেন। এই ধরনের কার্যক্রম সরকারদলীয় এমপিরা আরও করবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো বলতে পারব না।

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়নি। নিয়োগ দেয়া হলে তখন দেখব, দলীয় কেউ নিয়োগ পেয়েছেন কিনা।

প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটগ্রহণ হোক। এ জন্য সরকার কী সহায়তা করতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে তিনি বলেন, যন্ত্র আওয়ামী লীগ বা বিএনপি চেনে না। যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন, তারা বিষয়টা জানেন। সেনাবাহিনী এখানে ট্যাকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে। ব্যাকআপ হিসেবে ৫০ শতাংশ মেশিন রাখা হবে। এতে একটি ইভিএম সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি লাগিয়ে দেয়া যায়।

বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে এইচটি ইমাম বলেন, আমরা এরকম কোনো ঘটনা দেখিনি। এমন অভিযোগ যারা করছেন, তারা সব সময়ই করেন। সব সময়ই এমন কথা বলেন। কাউকে ধরপাকড় ও এলাকা ছাড়ার মতো পরিস্থিতি ঘটেনি।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও