২০ মার্চ দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ রামকাঠীর বাসিন্দা মো. জামাল হাওলাদারের বাড়িতে সুন্নতে খতনার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে দুজন বিদেশ ফেরতসহ পাঁচশতাধিক অতিথিদের আমন্ত্রণ করা হয়। জুমার নামায শেষে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। অপরদিকে চরআইচা এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ৪ থেকে ৫ শত লোকের আয়োজন ছিল।অভিযানে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. জাকির হোসেন আজাদ, মেট্রোপিলটন পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান বলেছেন, জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বরিশালের সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিয়ে-খতনা অনুষ্ঠান বন্ধ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদক – বরিশালের সায়েস্তাবাদ ইউনিয়নে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে আয়োজন করা দুটি সামাজিক অনুষ্ঠান একটি বিয়ে ও একটি খতনা বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অনুষ্ঠান দুটি বন্ধ করে দেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভোলার দৌলতখানেও একটি বৌভাতের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ ও দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান এ বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
জানা যায়, উপজেলার চর খলিফা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল মৃধা বাড়ির মো. কবির হোসেনের ছেলে মো. ইলিয়াছ গত ১৪ মার্চ ঢাকায় বিয়ে করেন। সেই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার তাদের বাড়িতে বৌভাত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে সব জনসমাবেশ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। সকালে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার ওসি এসে তাদের এ বৌভাত অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। এসময় তারা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ‘দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারিভবে সকল সভা সমাবেশ ও জন সমাগম নিষিদ্ধ। এরই অংশ হিসেবে এ বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। করোনা মোকাবেলায় সব জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান এ কর্মকর্তা।’