টাঙ্গাইলে একই পরিবারের ৪ জনকে হত্যা, মূল হোতা গ্রেফতার
আগমনী ডেস্কৌ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পৌর এলাকায় একই পরিবারের ৪ সদস্যকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ১২। ঘটনায় মূল হোতা সাগরকে (২৬) গ্রেফতারসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া টিভি, মোবাইল ও অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করেছেন তারা। রবিবার (১৯ জুলাই) বিকালে উপজেলার ব্রাহ্মণবাড়ী এলাকা থেকে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
রবিবার (১৯ জুলাই) রাতে টাঙ্গাইল র্যাব-১২ সিপিসি ৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবু নাঈম মোহাম্মদ তালাত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
র্যাব কমান্ডার বলেন, জিজ্ঞেসাবাদে সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করলে জানা যায়, নিহত আব্দুল গনি সুদের ব্যবসা করতো। আসামি সাগর আলীর সাথে পূর্বেথেকেই সুদের লেনদেন ছিলো। আসামি বেশ কয়েকবার সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। গত মঙ্গলবার আব্দুল গনির কাছে পুনরায় ২০০/- (দুইশত টাকা) এর জন্য গেলে তাকে অনেক বকাঝকা করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এতে সাগর অপমান বোধ করলে তার এক সহযোগীকে নিয়ে হত্যা এবং টাকা পয়সা ও সম্পদ লুটপাটের পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর তার সহযোগীকে নিয়ে গত (১৬ জুলাই) বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকায় নিহত গনির বাসায় যায়। যাওয়ার পূর্বে সাগরের সহোযোগী বাজার থেকে চেতনা নাশক নিয়ে যায়। আসামি ভূক্তভোগীর পূর্বপরিচিত হওয়ায় খুব স্বাভাবিক ভাবে বাসায় ঢোকার অনুমতি পায়। আকস্মিক ভাবে চেতনা নাশক ব্যবহার করে গনিকে অচেতন করে। পরিবারে সবাই ঘুমে থাকায় অচেতন করতে সহজতর হয়।
সবাইকে ঠান্ডা মাথায় ভুক্তভোগীর বাসায় ব্যবহৃত কুরাল ও আসামিদের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রত্যেককে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। বাসা ত্যাগ করার পূর্বে বাসার মূল্যমান জিনিসপত্র নিয়ে বাসার বাহির থেকে তালা মেরে পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ রোডের মাস্টারপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের চার সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেসময় রক্তাক্ত একটি কুড়াল দও উদ্ধার করে তারা। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত গণি মিয়ার এক মাত্র বেচে থাকা বড় মেয়ে সোনিয়া বেগম।