এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অপূর্ণতা নিয়ে কি মুজিববর্ষের সমাপ্তি ঘটবে?

জুন ৩০ ২০২১, ২৩:০৯

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার।যোগ্য নগরিক ও সভ্য জাতি বিনির্মাণে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।শিক্ষিত সমাজ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখে।শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা দরকার।
এ লক্ষ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা।এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করে শিক্ষা আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে লক্ষ লক্ষ এমপিও ভুক্ত শিক্ষক।

নামে মাত্র বাড়িভাড়া ও চিকিসা ভাতা নিয়ে ও তার উপর মাসিক ১০% কর্তন পর সামন্য বেতনে চাকরি করে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করে এ মহান পেশার মানুষগুলো।৫০ বছর ধরে দেশের অর্থনৈতিক অনেক সমৃদ্ধি হলে ও পরিবর্তন হয়নি এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের ভাগ্যের।
শিক্ষা শব্দটি সার্বজনীন হলেও আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিভাজন করা হয়েছে নানান ভাবে সরকারি,বেসরকারি এমপিও,সম্পূর্ণ বেসরকারি।এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যসূচি,পাঠদান পদ্ধতি ও সিলেবাস একই হলেও ভিন্নতা রয়েছে শিক্ষকদের মান মর্যাদা ও আর্থিক সুযোগ সুবিধাতে।

একই পদমর্যাদায় চরম বৈষ্যমের শিকার এমপিও ভুক্ত শিক্ষক সমাজ।নেই কোন বদলি ব্যবস্থা,নেই কোন পেনশন সুবিধা, সিকি উৎসব ভাতা ও নামে মাত্র বাড়িভাড়া এবং চিকিসা ভাতা।এ যেন এক দেশে দুই নীতি।এ রকম নীতি থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি ১৯৭১ সালে।নীতিমালা পরিবর্তন,পরিমার্জন,পরিবর্ধন করে দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন করা হচ্ছে এ পরিবর্তনে সাথে শিক্ষকদের জীবন মান পরিবর্তনের কথা কি একবারে জন্য ভাবা হয় না?শুধু নীতিমালা করে শিক্ষক সমাজকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারলে কি নীতিমালাবিদ নোবেল পাওয়া যাবে?এ যদি হয় দেশের নীতি নির্ধারকের মনমানসিকতা তাহলে কি তাদের দ্বারা দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে?পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে কিনা আমাদের জানা নেই।জাতির ভাবার বিষয় ২৫% বোনাসে আমাদের ইদ কাটে,১,০০০ টাকায় আমাদের বাড়িভাড়া হয়।

আমাদের দেশে শিক্ষকের চাইতে দিন মজুরের পারিশ্রমিক বেশি।এ পেশার মানুষগুলোর বুক ফাঁটা কাঁন্নার আওয়াজ কারো কানে পৌঁছে না।উসব আয়োজনে সন্তানের অবদার মিটাতে না পারা ব্যর্থ বাবা-মা হল এই শিক্ষক সমাজ।
দেশ উন্নত হচ্ছে,সমৃদ্ধি হচ্ছে দেশের অর্থনীতি।এগিয়ে যাচ্ছে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের সব কর্মকান্ড।দেশের সামর্থ্য হয়েছে আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার।আমাদেরকে আর বঞ্চিত করবেন না।আমরা আমাদের অধিকার চাই আমরা সমাজে মাথা উঁচু করে দাড়াতে চাই।অচিরে উৎসব ভাতা সহ সব দাবি মেনে নেওয়ার আকুল আবেদন জানাই।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও