হাবিপ্রবিতে অফিস সহায়কের পিটুনিতে পাঁচ শিক্ষক হাসপাতালে

নভেম্বর ১৬ ২০২২, ১৭:২৯

Spread the love

এনামুল মবিন(সবুজ)স্টাফ রিপোর্টারঃ দিনাজপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যানসহ চার শিক্ষককে পিটিয়েছে বলে এক‌ই বিভাগের অফিস সহায়ক তাজুল হোসেনের নামে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার(১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে একাডেমিক ভবন–২ এর তৃতীয় তলায় বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনাটি ঘটে।

আহত শিক্ষকেরা হলেন,হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান (৩৫),সহযোগী অধ্যাপক বেলাল হোসেন (৩৫), প্রভাষক হারুন অর রশিদ (৩০) ও নির্মল চন্দ্র রায় (৩০)। এ ছাড়া সদ্য প্রভাষক মাহাবুব হোসেনও মারধরের শিকার হয়েছেন। আহত শিক্ষকরা সবাই দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

অভিযুক্ত অফিস সহায়ক তাজুল হোসেন(৪২)। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত। পরে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মামুনুর রশিদ।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক রোকনুজ্জামান রনি বলন, বুধবার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগর চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদর শিক্ষা সফরে যাওয়ার কথা ছিল। এই শিক্ষা সফর ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে দু’জন শিক্ষক ও যাওয়ার কথা ছিল। তাই সকাল সাড়ে নয়টার সময় সব ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক উপস্থিত হলেও অফিস সহায়ক পিয়ন তাজুল ইসলাম বিলম্ব করেন।

আমি নিজই অফিস পিয়ন তাজুলকে মোবাইল ফোন করে তাড়াতাড়ি অফিস আসার জন্য নির্দশ প্রদান করি। কিন্তু তিনি মোবাইলে আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং কথা বলার এক পর্যায়ে উত্তেজত হয়ে মোবাইলের লাইন কেটে দেন। কিছু সময় পর তাজুল অফিস আসলে তাকে মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে প্রথমেই সদ্য যোগদানকারী শিক্ষক মাহবুব রহমানের মাথায় পানি খাওয়ার গ্লাস দিয়ে আঘাত করেন।

রক্তাক্ত অবস্থায় শিক্ষক কক্ষে যান। অন্যান্য শিক্ষকরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাথাড়ি পানি খাওয়ার গ্লাস দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকেন। আমি নিজে এগিয়ে আসলে আমার ওপরেও হামলা করেন। এতে আমার ঠোঁট ফেটে যায়। এ ঘটনায় আরও চারজন শিক্ষক মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় শিক্ষকদের উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। শিক্ষকদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দিনাজপুর অব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম জানান, এর আগেও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অফিস সহায়ক পিয়ন তাজুল ইসলাম এক শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছিলো। সেই সময় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়ছিলো। গত কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তিনি হয়তো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। যা আমাদের অনেকেরই ধারনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে খুব শিগগির বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও