দুর্নীতিবাজ সার্ভেয়ার রুহুল আমিনকে টাঙ্গাইলে জোনাল সেটেলমেন্টে বদলী
আনোয়ার হোসেন, বুরো প্রধান চট্টগ্রাম :স্বাধীন বাংলাদেশের গণমাধ্যমের কর্মীরা, ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস , মাদকের বিরুদ্ধে এবং দেশ ও দেশের জন্য লিখবেন এটাই স্বাভাবিক। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে শক্তি সাংবাদিকদের কলম ও ক্যামেরা দেশ ও জনগণের কথা বলবে তাইতো এদেশের সাংবাদিকদের বলা হয় সমাজের দর্পণ বা আয়না । জামালপুর জেলায় সাংবাদিকের নামে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মিথ্যা মামলা দেওয়ায় সবচেয়ে বেশী আলোচিত, সেই সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিনকে জামালপুর থেকে টাঙ্গাইল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে বদলী করা হয়েছে ।
জানা যায়, জামালপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে তথ্য অনুসন্ধান করাতে উক্ত সার্ভেয়ার বিভিন্ন অপকর্ম ঘুষ দুর্নীতি ঢাকতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকের নামে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ।
এদিকে জামালপুর জেলার সদর জোনাল সেটেলমেন্ট সহ অন্যান্য ভুমি সংক্রান্ত অবৈধ কাজে বা তদবিরের প্রয়োজন হলে দালালরা প্রথমে খুঁজে সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিনকে !
পরবর্তীতে বিভিন্ন অবৈধ কার্যকলাপ ভুমি অফিস গুলোতে সার্ভেয়ার রুহুল আমিনের দালাল সিন্ডিকেটরা অসাধ্যকর কাজ হলেও সাধন করতো বিপুল পরিমাণের অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে । ফলে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস সহ জামালপুরের সকল ভুমি অফিসগুলো ছিলো রুহুল আমিনের সিন্ডিকেট নামে পরিচিত । যার কারণে দীর্ঘদিন জামালপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস সহ ভুমি অফিস গুলোতে বেশিরভাগই আগত সেবা প্রার্থীরা ছিলো অসহায় । সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিনের বদলীর খবরে অফিস গুলোতে শান্তির পরশ নামতে শুরু করেছে বলে জানাগেছে। দালালরা বলতো সার্ভেয়ার রুহুল আমিনের মাধ্যমেই বড় বড় অবৈধ কাজ গুলো ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতো, তাই জামালপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস সহ পুরো ভূমি অফিস গুলো চলতো তার মৌখিক নির্দেশে । সবই চলতো তার অবৈধ সুযোগ সুবিধার মাধ্যমে।
দুর্নীতিবাজ সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিন জামালপুর থেকে টাঙ্গাইল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে বদলী হওয়া সার্ভেয়ার এতই ক্ষমতাশালী ছিলেন যে , জামালপুর সদর আসনের সংসদ সসস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্জিনিয়ার মোঃ মোজাফফর হোসেন মহোদয়ের জোর সুপারিশ করা ফাইলও ধামাচাপা দিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিল তিনি । জামালপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম উক্ত সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে দুইটি তদন্ত বোর্ডের মাধ্যমে নিজেই তদন্ত করেছিলেন । অবশ্য একটি তদন্ত বোর্ড ভুমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের স্মারক নাম্বার ও জামালপুর জেলা প্রশাসকের স্বারকে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার্স মোঃ আরিফুল ইসলাম নিজেই তদন্ত করেছিলেন । এরপর হেড অফিসের স্মারক নাম্বারে আরেকটি তদন্ত হয় । সেই তদন্তও আরিফুল ইসলাম করেন বলে জানা যায় । এতদিন তদন্ত গুলোর কোন আলোর মুখ দেখেনি ভুক্তভোগীরা । বিভিন্ন অনুসন্ধান বেড়িয়েআসে, জামালপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে অভিযোগের শেষ নেই ।
পরবর্তীতে সাংবাদিক মোঃ মোশারফ সরকার আরো তথ্য অনুসন্ধান শুরু করলে , উক্ত অফিসে ডেপুটেশনে কর্মরত সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিন সাংবাদিক মোঃ মোশারফ হোসেন সরকার এর নামে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে । উক্ত সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে একাধিক তদন্ত কমিটি তদন্ত করেছেন ,অথচ জামালপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার এ এইচ এম আরিফুল ইসলামের আর্শীবাদে এতোদিন বীরদর্প রাজত্ব কায়েম করেছে !
জামালপুর জেলার সাংবাদিক মোঃ মোশারফ হোসেন সরকার এর নামে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দেওয়া, সেই সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিন কে টাঙ্গাইল জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে বদলী করা হয়েছে । সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিন শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় পোষ্টিং কিন্তু শ্রীবরদী উপজেলায় কাজ না করে দীর্ঘদিন ডেপুটেশনে কর্মরত ছিলেন জামালপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে । সাংবাদিক মোঃ মোশারফ হোসেন সরকার উক্ত সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করাতে উক্ত সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিন , সাংবাদিক মোঃ মোশারফ হোসেন সরকার এর নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
ফলে সাংবাদিক মোঃ মোশারফ হোসেন সরকারের বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ সহ ভুমি রেকড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, দুদক , জেলা প্রশাসক জামালপুর সহ , বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্ধতর্ন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। সার্ভেয়ার মোঃ রুহুল আমিনের মৌখিক নির্দেশে জামালপুর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে বিশেষ বিশেষ টেবিল নিয়ন্ত্রণ হতো এমন অনেক অভিযোগ আছে । উক্ত সার্ভেয়ার অবৈধভাবে গড়েছেন টাকার পাহাড় । নামে বেনামে রয়েছে অবৈধ সম্পদ । শুধু তাই নয় তিনি জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের উত্তর- পূর্ব পাশে ( আজম চত্বরের দক্ষিণ পাশে ) জমি কিনে মার্কেট করেছেন । অথচ ইনকাম টেক্স বা তার অফিসিয়াল ফাইনালে জমি কিনে মার্কেট করার কথাটি উল্লেখ করে নাই । তার নামে বেনামে সকল সম্পত্তির তদন্ত করলে সকল কিছু বের হয়ে আসবে বলে জানান সুধীমহল।