খাদ্য অধিদপ্তরের ওটিএম টেন্ডারে দূর্নীতি, টাকার বিনিময়ে ১৯ জন ঠিকাদারকে সর্বনিম্ন রেট সরবরাহ করে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী মোঃ আবু বকরের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক দুটি ওটিএম ই-জিপি (e-GP) টেন্ডারে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।গত ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এসব টেন্ডারের সাবমিশন তারিখ ছিল যথাক্রমে ১২ ও ১৩ ই অক্টোবর ।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, টেন্ডার সিডিউল পূরণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও আরএমও মুহাম্মদ সঈদুর রহমান পিডব্লিউডির (PWD) ২০২৩ সালের রেট সিডিউল অনুসরণ করে সিডিউল রেট ফিলআপ করার মৌখিক নির্দেশনা দেয়। তবে নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি লটের সিডিউলে ৪/৫ টি আইটেমের দর PWD এর রেট সিডিউলে উল্লেখ না করে উক্ত ৪/৫ টি আইটেমের দাম তারা নিজেদের খেয়াল খুশি মত বসিয়ে কাজের মোট দর নির্ধারণ করেন। যার ফলে সাধারণ ঠিকাদারগণ যেভাবে পেরেছে টেন্ডার ডকুমেন্টস সাবমিশন করেছে এবং তাদের মধ্যে কেহই সর্বনিম্ন দরদাতা হতে পারেনি।
অভিযোগসূত্রে আরো জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (SE) মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী নিজে প্রতিটি লটের উক্ত ৪/৫ টি আইটেম এর ইউনিট রেট নির্ধারণ করে কাজের মোট দর নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং ৫% কমিশনের বিনিময়ে সিডিউলের নতুন আইটেমগুলির রেটসহ কাজের মোট রেট সরবরাহ করেন। এদিকে যাদেরকে তিনি প্রতিটি আইটেমের দরসহ মোট মূল্য সরবরাহ করেছেন তারাই সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছেন।
এ বিষয়ে আমাদের সংবাদদাতা কয়েকজন ঠিকাদারের সাথে কথা বলে দূর্নীতির বিষয়টি অবগত হয় এবং তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন। কাজ পাওয়া ঠিকাদারদের কাছ থেকে জানা যায়, আবু বকর তাঁর নিজস্ব বলয়ের ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৫/৬ শতাংশ কমিশন গ্রহণ করে ঠিকাদারদের সর্বনিম্ন দর সরবরাহ করেন এবং তার নীল নকশায় ঠিকাদারগন সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়।
বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে ১২ অক্টোবর কয়েকজন সর্বনিম্ন দরদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেন। জানা যায়, এদের মধ্যে আপন দুই ভাইকে দুটি কাজের দরপত্র দেয়া হয় এবং সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছেন আপন সেই দুই ভাই।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, টেন্ডারের ওটিএম প্রক্রিয়ায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (SE) আবু বকর সিদ্দিকী এবং RMO মোঃ সঈদুর রহমান যৌথভাবে কাজের গোপন কোটেড রেট তাদের ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের সরবরাহ করেন, যার মাধ্যমে তারা প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নেয়।
উক্ত অর্থের লেনদেনের ঘটনা খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয়কে জানানো হলেও তিনি নির্লিপ্ত রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মহলে দাবি উঠেছে, অবিলম্বে এই অনিয়মের স্বচ্ছ তদন্ত করে উক্ত টেন্ডার বাতিল ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক ।













