নিরীক্ষা শেষে জর্জিয়ার স্টেট অফিস নিশ্চিত করেছে,ভোট প্রতারণার ঘটনা ঘটেনি

নভেম্বর ২০ ২০২০, ১৪:১৩

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃমার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প অভিযোগ তুলেছিলেন জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে।জর্জিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেট ও রিপাবলিকান নেতা ব্র্যাড র‍্যাফেনস্পার্গার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জর্জিয়ার ঐতিহাসিক প্রথম রাজ্যজুড়ে নিরীক্ষা পুনরায় নিশ্চিত করেছে যে রাজ্যের নতুন সুরক্ষিত কাগজ ব্যালটে ভোটদান পদ্ধতি সঠিকভাবে গণনা করেছে এবং ফলাফলের প্রতিবেদন দিয়েছে। এর কৃতিত্ব আমাদের কাউন্টি ও স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তাদের। তাঁরা স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ বিশাল কাজ শেষ করে ফেলেছেন।’

জর্জিয়ার স্টেট অফিস সম্প্রতি জর্জিয়া রাজ্যজুড়ে ভোটের নিরীক্ষা শেষ করেছে। এতে প্রতারণার কোনো ঘটনা তারা পায়নি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, নিরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফলে জর্জিয়াতে ট্রাম্পকে ১২ হাজার ২৮৪ ভোটে হারিয়েছেন বাইডেন। নিরীক্ষাপূর্ব ফলাফলের চেয়ে চূড়ান্ত ফলে বাইডেনের ভোট কিছুটা কমেছে। স্টেট অফিস একাধিকবার নিশ্চিত করে বলেছে, এ অঙ্গরাজ্যে ব্যাপক কোনো প্রতারণা বা অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি। জর্জিয়ার আইন অনুযায়ী, শুক্রবারের মধ্যে নির্বাচনের ফলাফলের সনদ দিতে হবে।জর্জিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেটের অফিসের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জর্জিয়াতে মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ১৬। সিএনএনের খবরে বলা হয়, জর্জিয়ায় বাইডেন ১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পেলেন। এ নিয়ে তাঁর ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০৬। আর ট্রাম্পের ইলেক্টোরাল ভোট ২৩২। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হতে কোনো প্রার্থীর ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের দরকার হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করে মোট ৫৩৮ জন ‘ইলেক্টর’ বা নির্বাচকের ভোটের ওপর।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান শিবির আক্ষরিক অর্থেই দ্বিধাবিভক্ত হয়ে আছে। দলের নেতাদের মধ্যে বিভাজনের রেখা সুস্পষ্ট। এই বিভাজনের কেন্দ্রে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর প্রতি রিপাবলিকানদের নিবেদন কোন মাত্রার হবে, তা নিয়েই এখন দলটির মধ্যে মূল দ্বন্দ্ব।নির্বাচনের ফল চুরি করা হয়েছে মর্মে  ট্রাম্প যে দাবি করে যাচ্ছেন, তাকে সমর্থন দেওয়া-না দেওয়া নিয়ে এই দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্য হয়ে উঠছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও