রাজমিস্ত্রি অরূপের স্ত্রী সরকারি নার্সেের চাকুরী পেয়ে স্বামীকে ত্যাগ করতে চায়

জানুয়ারি ০১ ২০২১, ১৯:১১

Spread the love

আগমনী ডেস্কঃচার বছরের প্রেমের পর চার বছরের দাম্পত্য জীবন। সেই সম্পর্ক এখন ভাঙতে চাইছেন তরুণী স্ত্রী। অভিযোগ, নার্সিং ট্রেনিং শেষ করে সদ্য সরকারি চাকরিতে ঢুকে রাজমিস্ত্রি স্বামীর ‘স্ট্যাটাস’-এর সঙ্গে মানাতে পারছেন না তিনি। তবে স্ত্রীকে কোনওভাবেই ছাড়তে রাজি নন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট শহরের অমৃতখণ্ডের অরূপ বর্মন। তিনি নিরুপায় হয়ে বুধবার রাত থেকে স্ত্রীর বাড়ির সামনে তাই অনশনে বসেন। বৃহস্পতিবার সকালেও অবস্থানে অনড়।

দাবি একটাই, ‘তোমাকে চাই’। না পেলে আত্মহত্যা করার হুমকিও দিয়েছেন স্বামী। ঘটনাস্থলে বালুরঘাট থানার পুলিশ। অরূপ পেশায় রাজমিস্ত্রি। চার বছর আগে স্থানীয় এক তরুণীর সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন তিনি। স্থানীয়দের কথায়, দুই পরিবারের সহমতেই বিয়ে হয়েছিল। তবে বিয়েতে সামাজিক কোনও অনুষ্ঠান হয়নি। বিয়ের পর পরই নার্সিং ট্রেনিংয়ের সুযোগ আসে ওই তরুণীর।

অরূপের পরিবারের দাবি, বউমার বাপের বাড়ির অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। তাই কষ্ট করে অরূপ এবং অরূপের বাবা তার ট্রেনিংয়ের সবরকম খরচ দেন। চলতি বছরে দুর্গাপূজার আগেই গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নার্স হিসাবে যোগ দেন ওই তরুণী। অভিযোগ, সরকারি চাকরি পাওয়ার পরই বদলাতে শুরু করেন তিনি। কোনওভাবেই অরূপের সঙ্গে থাকবেন না বলে সোজা জানিয়ে দেন।

অরূপের কথায়, “আজ আট বছরের সম্পর্ক। বিয়ের পর নার্সিং ট্রেনিংয়ে গেল। আমি সবসময় ওর পাশে থেকেছি। কত কষ্ট করে ওর সব খরচ চালিয়েছি। এখন চাকরি পেয়ে বলছে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাই না। ও এখন ভাল একটা জায়গায় চলে গেছে, ‘স্ট্যাটাস’ ভাল হয়েছে তাই হয়তো আমাকে আর ভাল লাগছে না। কিন্তু আমি ওকে ছাড়া বাঁচব না। ও না এলে আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে।”

বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের কাছেও স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান অরূপ। রীতিমত রেজিস্ট্রির কাগজপত্র নিয়ে বুধবার রাত থেকে ধরনায় সে। এই কনকনে ঠাণ্ডায় রাতভর বসেছিলেন তিনি। অরূপের পাশে দাঁড়িয়েছে তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। অরূপের কথায়, ‘সব জেনেই আমাকে ভালবেসে বিয়ে করেছিল ও। চাকরি পাওয়ার পর একেবারে বদলে গেল। আমি শুধু ওকেই চাই।’ যদিও এ বিষয়ে ওই তরুণী বা তাঁর পরিবারের কেউ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও