গণমাধ্যমে খণ্ডিত বক্তব্য এসেছেঃওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা

জানুয়ারি ০৬ ২০২১, ০৯:২০

Spread the love
আগমনী ডেস্কঃআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন,‘আমার বক্তব্যের খণ্ড অংশ প্রচার করে মিডিয়া বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।’ মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ দাবি করেন। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হয়েছেন আবদুল কাদের মির্জা। এই নির্বাচনের প্রচারণা সভায় দেওয়া বক্তব্যগুলো প্রকাশিত হলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো, নির্বাচন কমিশনকে কোলের মধ্যে বসিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনের নামে দেশবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে।’

এরপর মঙ্গলবার নিজের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবদুল কাদের মির্জা উল্লেখ করেন,‘সাম্প্রতিক সময়ে বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন সভায় আমার দেওয়া বক্তব্য নিয়ে একটি কুচক্রীমহল নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। নির্বাচন নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। শুধুমাত্র একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনের উদ্দেশ্যে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ যেন হয়, এজন্য আমি নানা নির্বাচনি সভায় কিছু কথা বলেছি। কিন্তু কোনও কোনও গণমাধ্যম সেগুলো বিস্তারিত উল্লেখ না করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার বক্তব্যের খণ্ড অংশবিশেষ প্রচার করেছে। আমি শুধুমাত্র বৃহত্তর নোয়াখালীর আঞ্চলিক রাজনীতি নিয়ে নানা অনিয়মের কথা বলেছিলাম। জাতীয় ইস্যুতে আমি কোনও বক্তব্য রাখিনি।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও জানান, ‘বিগত এক যুগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, সে বিষয়গুলো আমি আমার বক্তব্যে উল্লেখ করেছিলাম। বৃহত্তর নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কিছু চামচা নেতা আছে। যারা বলেন, অমুক নেতা, তমুক নেতার নেতৃত্বে বিএনপির দুর্গ ভেঙেছেন। সত্যি কথা হলো, সাধারণ মানুষ বলে শেখ হাসিনা একলা কী করবে? এতে প্রতীয়মান হয় যে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কারণে বৃহত্তর নোয়াখালীতে বিএনপির দুর্গ ভেঙে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯৬ সালে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন, তখন অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেন। ২০০৮ সাল থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশে যেসব উন্নয়ন অর্জন হয়েছে ও হচ্ছে তার সবকিছু দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হচ্ছে। পদ্মাসেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী ট্যানেলসহ সব মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এছাড়াও সমুদ্র সীমানা বিজয়, গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, স্থলবন্দর স্থাপন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, রেমিটেন্স বৃদ্ধি, বৈদেশিক রিজার্ভ বৃদ্ধি, বড় বড় শহরগুলো ও জেলায় ফোরলেন নির্মাণ, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি সার্বিকভাবে জাতীয় প্রবৃদ্ধি, বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ করোনাকালীন সময়ে দুর্যোগ মোকাবিলা করে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ করার মানসে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।’

এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখায় ভাইয়ের প্রশংসা করে আবদুল কাদের মির্জা তার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি নিজ নির্বাচনি এলাকা ছাড়াও বৃহত্তর নোয়াখালীর উন্নয়ন ও সারাদেশে উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।’

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও