দল, মত, ধর্ম নির্বিশেষে অসহায় বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান
ঘরবাড়ি, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পানি ঢুকছে। লোকজন ঈদের জামাত পর্যন্ত পড়তে পারেনি। আমার প্রশ্ন বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে যারা অবৈধ ভাবে জনপ্রতিনিধিত্ব করে চলেছেন তারা এখন কোথায়? সাধারণ মানুষ আজ অসহায় ও পানিবন্দি।
নিয়মিত ড্রেজিং, নদী খনন, বাধ নির্মাণ, সংরক্ষণ, দুর্যোগ মোকাবেলা প্রস্তুতি নেই কেন? মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিন খেলার অধীকার এই সরকার ও স্বঘোষিত এই ব্যর্থ জনপ্রতিনিধিদের কে দিয়েছে?
জেনারেল আতাউল গনি উসমানী, হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, আলহাজ আব্দুস সামাদ আজাদ, এম সাইফুর রহমান, শাহ এএম এস কিবরিয়া, দেওয়ান ফরিদ গাজী, বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, এডমিরাল মাহবুব আলী খানের মত ব্যক্তিরা দায়িত্বে থাকতে কখনোই এত অব্যবস্তাপনা দেখা যায়নি।
প্রবাসী অধ্যুষিত হযরত শাহজালাল (র.) এর পূণ্যভূমি যা চা, পাথর, বালি, আনারস, কমলালেবু আর প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য যেন নয় অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় লুটেরাজদের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে।
সিলেট বিভাগের স্থানীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি জাতীয় নেতৃত্বের ধারাবাহিক ব্যর্থতা এই অঞ্চল কে প্রাপ্য উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করছে। অব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনাহীনতা, যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে আজ এই অঞ্চল বারংবার অবহেলিত হচ্ছে। অবাক লাগে ১ বছর অতিক্রম হয়ে গেল সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ হাওরাঞ্চলে ভয়াভহ দুর্যোগের জন্য দায়ীদের বিচার পর্যন্ত হল না। আজ মৌলভীবাজার শহর প্রতিরক্ষা বাঁধের একাধিক স্থান দিয়ে এখনও পানি ঢুকছে।
সেনাবাহিনীর একটি টিম শহর প্রতিরক্ষা টিকিয়ে রাখতে বালির বস্তা ফেলছে। আমি সর্বস্তরের জনগণকে অনুরোধ জানাই আপনারা সিলেটের নিম্নাঞ্চল বিশেষ করে জাকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইঘাটসহ প্রত্যেকটি এলাকার দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান। এবং অনতি বিলম্বে মৌলভীবাজারসহ বন্যাকবলিত এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করার আহ্বান জানাই।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)