চরবাড়ীয়া নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে বেড়িবাঁধের কাজ একবছরেও শুরু হয়নি
বরিশাল:
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন সংলগ্ন ইউনিয়ন চড়বাড়ীয়া। এ ইউনিয়নটি ঘনবসতিপূর্ন অনেক। ইউনিয়নবাসীর আতংকের অারেক নাম নদী ভাঙ্গন। নদী ভাঙ্গন যেন তাদের জন্মগত শত্রু। নদী যেমন বয়ে চলেছে ঠিক তেমনি নিয়ম করে লুটে নিচ্ছে অসহায় মানুষের ধানিজমি, বসত ঘড় সহ গাছপালা। কিন্তু বছরের পর বছর রাজনীতিতে নতুন নতুন নেত্রী আসলেও কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি এই সাধারন মানুষের আতংক নদী ভাঙ্গন রোধের ।প্রতিবছর হাজারো বাড়ী- ঘড় নদীতে বিলীন হলেও জনপ্রতিনিধিদের সমবেদনা জানানো ছারা যেন কোনো কাজ নেই। সম্প্রতি বরিশাল-৫ আসনের এপির প্রচেষ্টায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী ভাঙ্গনের কাজের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেরিবাধের অনুমোদন দেয়। এই খবর ছড়িয়ে পরলে চড়বাড়ীয়াবাসি যেন প্রাণ ফিরে পায়। বিভিন্ন মসজিদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করা হয়। তাদের যুগ যুগ ধরে দেখা স্বপ্ন বাস্তবে রুপান্তরিত হবে এই ভেবে সবাই আতংকের কথা ভুলেই যায়। মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও সেই কাজ কবে হবে তার কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেনা ইউনিয়নবাসি। প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে চলছে নদী। বেশ কিছুদিন আগে ৩ নং চড়বাড়ীয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড পূর্ব চরআবদানী দুটি ঘড় নদীতে ভেঙ্গে নেয়। তাদের মাথা গোজার ঠাই এখন ফুটপাত। এবিষয়ে লামচরীর ছেলে আব্দুর রহমান বলেন, আমার দাদার যে ঘড় ছিল তা নদীতে ভেঙ্গে যায়। তারপরে আমার বাবা ঘড় করেন জমি কিনে। সেখানেও নদী ভাঙ্গন আমাদের থাকতে দেয়নি।আমরা মুল রাস্তার পাসে আবার জমি কিনে ঘড় তৈরি করেছি। কিন্তু এখন দেখছি সেখানেও নদী ভাঙ্গন। আমরা গরিব মানুষ সর্বশ্য শেষ হলে কোথায় গিয়ে থাকবো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু বয়স্ক লোকেরা বলেন নির্বাচন আসলে সবাই আমাদের আশা দেখায় কিন্তু তারপরে তাদের খবর থাকেনা। আমরা সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি এই নদী ভাঙ্গন। কিন্তু কেহই এগিয়ে আসেনা। তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমার রিন্টু ভোটের আগে বলেছেন আমি নির্বাচনে জিতলে আপনাদের নদীভাঙ্গন থেকে উদ্ধার করবো।বেরিবাধের কাজের মাধ্যমে এখন বেরিবাধ তো দুরের কথা তাকেই দেখিনা। চড়বাড়ীয়া ইউনিয়র চেয়ারম্যান বলেছে, আপনারা চিন্তা করবেন না আমি এই ইউনিয়নের ছেলে, ভাঙ্গনের কাজ আগে। আমি আওমি করি কাজ হবেই। তবে তাদের কথা থাকলেও বাস্তবে রুপ নিতে নিতে আমাদের সর্বস্য হারাতে হবে। সর্বপরি ইউনিয়ন বাসির একটাই দাবি অচিরেই যেন বেরিবাধ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। না হয় সবাইকে রাস্তায় গিয়ে থাকতে হবে।এ বিষয়ে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু সাইদ জানায়,মন্ত্রনালয় থেকে কাজটি নেভী বা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে করানোর জন্য একটু সময় লেগেছে।তবে বেড়িবাঁধের কাজটি এরি মধ্যে নেভীর প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ডকে দেয়া হয়েছে।এখন কিছু প্রসেসিং এর বিষয় আছে।আশা করছি দুই-তিন মাস অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমের পরেই কাজটি শুরু হবে।