এবার ছেলেদের সরকারি বিদ্যালয়ে প্রাথমিকে পড়াতে পারবেন সৌদি নারী শিক্ষকরা
সম্প্রতি সৌদি আরবের আইনে নারীদের বিষয়ে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞায় শিথিলতা এনেছে দেশটির সরকার।ইতিমধ্যে নারীদের গাড়ি চালানো ও পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আইনটি শিথিল করা হয়েছে।
এবার জানা গেল, সৌদি নারীরা দেশটির ছেলেদের সরকারি বিদ্যালয়েও প্রাথমিকে শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন।
যদিও গত কয়েক দশক ধরে সৌদির অনেক বেসরকারি বিদ্যালয়ের প্রাথমিকে নারী শিক্ষকরা শিশুদের পাঠদান করাচ্ছেন। তবে কোনো সরকারি বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষক দিয়ে ছেলেদের ক্লাস নেয়ানো হতো না।
আরব নিউজ জানিয়েছে, নতুন এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ১ হাজার ৪শ ৬০টি রাষ্ট্র পরিচালিত স্কুলে এখন থেকে ছেলেদের ক্লাস নেবেন নারী শিক্ষকরা।
নারীরা পুরুষ শিক্ষকদের তুলনায় শিশুদের ভালো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন বলেই এমন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি শিক্ষা বোর্ডের সহকারি সাধারণ পরিচালক সুয়াদ আল মানসুর।
আরব নিউজকে তিনি বলেন, এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য শিক্ষা ব্যবস্থায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিটি শিশুর সমান অধিকার নিশ্চিত করা। আর এ কাজে নারী শিক্ষকের ভূমিকা অগ্রগণ্য।
তিনি বলেন, একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো তার শিশুকাল। শিশু বয়সেই মানবিকতা, নৈতিকতা শেখে মানুষ। আর পুরুষদের তুলনায় নারী শিক্ষকরা শিশুদের প্রতি অনেক বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেন এবং ভয়ভীতি কম দেখান। যা শিশুদের বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মূলত মাতৃত্বের ছায়ায় শিক্ষাগ্রহণ করানোর উদ্দেশ্যেই শিশুদের জন্য নারী শিক্ষক বরাদ্দ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আল মানসুর বলেন, প্রাইমারি গ্রেডে ছেলে-মেয়েদের এক সঙ্গে কোনো ক্লাস হবে না। তাদের ক্লাসরুম, শৌচাগার এবং অন্য সুযোগ-সুবিধা সব আলাদা থাকবে।
এদিকে বিষয়টিকে সাশ্রয় হিসেবেও দেখছে সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তারা বলছেন, নারী শিক্ষকরা ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ ছেলে শিশুকে শিক্ষাদান করবেন। এতে শিক্ষাক্ষেত্রে ৫৩৩ মিলিয়ন ডলার কম খরচ হবে। খবর আরব নিউজের