সোনাইছড়ি-ঘুমধুম সড়ক নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ধস

সেপ্টেম্বর ১৫ ২০১৯, ১২:৩৬

Spread the love
দৈনিক আগমনীঃবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর থেকে সোনাইছড়ি হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত নির্মাণাধীন সড়কটি বুঝে নেওয়ার আগেই বিভিন্ন স্থানে ধস ও পানিতে তলিয়ে গেছে। নিম্নমানের কাজ, সীমাহীন অনিয়মের কারণেই সড়কটি ভেঙে গেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এলজিইডি কাজটি পুনরায় করার আশ্বাস দিলেও কাজের স্থায়িত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সিএইচটিআরডিপি-২ প্রকল্পের নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু (৩০+৫৮৯) সড়কে ২০১৭-১৮ অর্থ বছর প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দে ১৮ মিটার সড়ক উন্নয়ন কাজের টেন্ডার পায় বান্দরবানের আবছার কনস্ট্রাকশন। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে পারেনি   ঠিকাদার। কাজ শেষ না হলেও ধসে গেছে সড়ক। এদিকে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকায় ইউটি মং ও মিল্টন কনস্ট্রাকশন ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে তুমব্রু বাজার ক্যাম্প রোডে ৩৩ মিটার ব্রিজ ও এইচবিবিকরণ কাজ পায়। এই কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি লোক দেখানো কাজের মাধ্যমে মূল বিল তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ঠিকাদাররা।

সরেজমিনে সড়কের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা যায়, দুটি কাজ যেখানে হয়েছে সেখানে কম জনবসতির কারণে অনেকটা বিনা বাধায় অনিয়মের মাধ্যমে কাজ শেষ করে ঠিকাদার। যার কারণে অল্প বৃষ্টিতে পিচঢালা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গর্তে পরিণত হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে মাটি ধরে রাখার জন্য দেওয়া হালকা ব্লক অনেক স্থানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলজিইডির কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সহায়তায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে কাজ করায় সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে।

এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থও অপচয় হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি এলজিইডির প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত বন্যায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে উপজেলায় প্রায় ৬ কোটি টাকার অধিক সড়কের ক্ষতি হয়েছে। সেই সময় ঘুমধুম সড়কেও কিছু কিছু জায়গায় ধস হয়। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক যেহেতু ঠিকাদার এখনো বুঝিয়ে দেয়নি তাই ঠিকাদার পুনরায় কাজগুলো করে দেবেন। 

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও