খালেদ ভূঁইয়া ৭ দিনের রিমান্ডে ডিবি কার্যালয়ে

সেপ্টেম্বর ২০ ২০১৯, ১৪:১৫

Spread the love
দৈনিক আগমনী ডেস্কঃ রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়াংমেনস ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনো মালিক যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা দুটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি,উত্তর) স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালত থেকে খালেদ মাহমুদকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ডিবি কার্যালয়েই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ডিবি উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত করবে ডিবি উত্তর। এরই মধ্যে মামলাগুলো গুলশান থেকে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। খালেদকেও ডিবিতে নিয়ে আসা হয়েছে।

এর আগে অস্ত্র মামলায় চার দিন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার ও শাহিনুর রহমান এই আদেশ দেন। আদালতে রিমান্ড বাতিল করে জামিন আবেদন করেন খালেদের আইনজীবীরা। বিচারক শুনানি নিয়ে অস্ত্র আইনের মামলায় চার দিন ও মাদক আইনের মামলায় খালেদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তার দখলে ও হেফাজত থেকে ইতালির তৈরি একটি কালো রঙের ১২ বোর শটগান, শটগানের ৫৭ রাউন্ড গুলি, ফ্রান্সের তৈরি ওয়ালথার ব্র্যান্ডের ৭.৬৫ পিস্তল, তিনটি খালি ম্যাগাজিন ও পিস্তলের ৫৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার করা হয় আসামির নিজ নামে করা পিস্তলের লাইসেন্স দুটি যা ২০১৭ সাল পর্যন্ত নবায়ন করা। আর আসামির নামীয় শটগানের লাইসেন্স দুটি যা ২০১৭ সাল পর্যন্ত নবায়ন করা।

এ ছাড়া আসামির একই রুমের দক্ষিণ পাশের দেওয়ালের স্টিলের লকার থেকে ৩টি ছোট নীল রঙের পলিব্যাগে ৫৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মাদক বিক্রির নগদ ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা যা বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান আনুমানিক সাত লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ টাকা, সিঙ্গাপুরের এক হাজার কারেন্সির ১০টি নোট, ৫০ কারেন্সির একটি নোট, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫০ কারেন্সির নোট দুটি, ১০ কারেন্সির নোট দুটি, সৌদি ৫০০ কারেন্সির নোট চারটি, ১০০ কারেন্সির নোট তিনটি, ৫ কারেন্সির নোট দুটি, ১০ কারেন্সির নোট একটি, ৫০ পয়সা একটি, এক কারেন্সির কয়েন একটি, ভারতীয় ৫০০ কারেন্সির নোট সাতটি, মালয়েশিয়ার ৫০ কারেন্সির নোট পাঁচটি, এক কারেন্সির নোট ছয়টি, ৫০ কারেন্সির নোট আটটি, থাইল্যান্ডের ১০০ কারেন্সির নোট চারটি, ৫০ কারেন্সির নোট একটি, ২০ কারেন্সির নোট দুটি, এক হাজার কারেন্সির নোট ১০টি উদ্ধার করা হয়।

মানি লন্ডারিংসহ বাকি দুই মামলায় আসামিকে এখনও গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়নি।

র‌্যাবের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে খালেদ জানিয়েছেন, ক্যাসিনো ব্যবসা এবং চাঁদাবাজি করে আয় করা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। আন্ডারওয়ার্ল্ডের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এসব টাকা পাচার করেছেন তিনি।তবে কত টাকা তিনি পাচার করেছেন, এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে এরই মধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।

পুলিশের গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে র‌্যাব।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও