মমতার সঙ্গে কথা বলতে চান অমিত শাহ

ডিসেম্বর ২৫ ২০১৯, ২২:২৯

Spread the love
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার (এনপিআর) ঘিরে সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক তালিকার ঘোর বিরোধী মমতা মনে করেন, এনপিআর হলো এনআরসি-র প্রথম ধাপ। সে কারণে চলতি মাসে রাজ্যে যে এনপিআর প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছিল, তা স্থগিত করে দেয় নবান্ন। এনপিআর করবে না বলে জানায় কেরালাও। ফলে অস্বস্তিতে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা।

এদিকে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) টেলিভিশন চ্যানেলে অমিত শাহের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সাংবিধানিকভাবে ভারতের কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ করতে বাধ্য রাজ্য সরকারগুলো। তাই আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবস্থানে অনড় থাকলে সংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে। সে-ক্ষেত্রে কী হবে?

এ সময় অমিত শাহ বলেন, ‘আমি প্রয়োজনে বাংলা ও কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করব। তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাব।’

এ বিষয়ে মমতা ব্যানার্জি এখনো কিছু বলেননি। তবে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কী বলবেন জানি না। কিন্তু কেউ যদি মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝাতে চান, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীও তাকে বুঝিয়ে দেবেন যে, এনপিআর আসলে এনআরসি শুরু করার প্রথম ধাপ।

প্রসঙ্গত, নবান্ন আগেই লিখিত নির্দেশ জারি করে এনপিআর-এর সব কাজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত এখনো বহাল। জনগণনার প্রশিক্ষণের সঙ্গে এনপিআর প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছিল। প্রশাসনের একাংশ জানাচ্ছে, এখন জনগণনার প্রশিক্ষণ হবে। এনপিআর-এর নয়। কেন্দ্রের বরাদ্দ করা অর্থ প্রধানত প্রশিক্ষণ এবং সমীক্ষকদের সম্মানির জন্য খরচ হবে।

অমিত শাহের দাবি, বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। তার বক্তব্য, প্রথমে এনপিআর নিয়ে সব রাজ্যই প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। এখন নাগরিকত্ব আইনের পরে এ নিয়ে ‘রাজনীতি করা’ শুরু হয়েছে। এনপিআর প্রসঙ্গে শাহের ব্যাখ্যা, এতে নাগরিকদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বোঝা যায়। গরিবদের জন্য প্রকল্প আনে সরকার। তাই আমি ওই মুখ্যমন্ত্রীদের বলতে চাই, রাজনৈতিক স্বার্থের কথা ভেবে গরিবদের জনমুখী পরিকল্পনার বাইরে রাখবেন না।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও