নিম্নমানের চাল সংগ্রহসহ চুক্তি মোতাবেক খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ না করায় ঝিনাইগাতীর ১০ চালেরমিলকে কালো তালিকাভুক্ত
আগমনী ডেস্কঃনিম্নমানের চাল সংগ্রহসহ গত বোরো মৌসুমে চুক্তি মোতাবেক খাদ্যগুদামে চাল সরবরাহ না করায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ১০টি চালেরমিলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।কালো তালিকাভুক্ত চালেরমিল গুলো হলো- মেসার্স বিউটি, আশরাফ, আল আমিন, হাসান, নুরজাহান, শহীদ, জায়েদা, রহিম, জাকির, আশরাফুল চালকল।
খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় খাদ্যগুদামে নিম্নমানের চাল সংগ্রহের অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৬ অক্টোবর তদন্ত কমিটি গঠন করে খাদ্য বিভাগ।ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন এবং ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভার সিদ্ধান্তে উপজেলার ১০টি চালকলকে চলতি আমন মৌসুমে চাল সরবরাহ হতে বিরত রাখতে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘এ গুদামে একটি ব্যবসায়ী চক্র এখানে দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের চাল সরবরাহ করে আসছে। ওই চক্রটি বোরো মৌসুমের শেষ দিকে নিম্নমানের চাল গ্রহণে চাপ দিয়ে ব্যর্থ হয়ে আমাকে বদলি করার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দেয়া শুরু করেছে।’উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক খোরশেদুজ্জামান বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি। এ উপজেলার ৫৬ চালকলের মধ্যে ৪৬টি চালকল মালিকের সঙ্গে চলতি আমন মৌসুমে ৭৮৪ল সংগ্রহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে খাদ্য বিভাগ।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফরহাদ খন্দকার কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে আরও অধিকতর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’