লকডাউন মানছেন না বরিশাল নগরীর পাশ্ববর্তী ইউনিয়নগুলো

এপ্রিল ০৭ ২০২০, ১৫:০২

Spread the love

আগমনী ডেস্ক:  করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা মানছেন না অসংখ্য মানুষ।বরিশালের স্থানীয় প্রশাসনের অঘোষিত লকডাউনের  মধ্যেও নগরীর আশেপাশের ইউনিয়নগুলোর    বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বিক্ষিপ্তভাবে চলছে আড্ডা।বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ, চরবাড়িয়া ইউনিয়ন সহ একাধিক  ইউনিয়নের অলিগলিতে এমন প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাজার কেন্দ্রীক  হওয়ায় আশে পাশের গলির চায়ের দোকানগুলোতে কোন প্রভাব দেখা যাচ্ছেনা প্রশাসনের এই কঠোর অবস্থানের মধ্যেও।স্থানীয়দের দাবী,বাজার কেন্দ্রীক টহল থাকলেও,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল চলে গেলে আবারও আড্ডায় ফিরছেন তারা।শায়েস্তাবাদ ও চরবাড়িয়া ইউনিয়নের  বিভিন্ন এলাকায় এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। এদিকে নগররীতে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানে জরুরী কাজ ছারা ঘর থেকে বের হচ্ছেনা অনেকেই।জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের হলে বিএমপির আঁটকের ঘোষণার সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতনমহল। তবে দেখা গেছে নগরীর পাশের ইউনিয়ন  শায়েস্তাবাদের বিভিন্ন  এলাকায়  সোমবার রাতেও শত শত মানুষ আড্ডা দিচ্ছেন। কোনো প্রয়োজন ছাড়াই রাস্তায় খোশগল্পে মেতে উঠছেন। এসব আড্ডায় তরুণদের পাশাপাশি বয়স্কদেরও দেখা গেছে। স্থানীয় সচেতনমহলের দাবী কাউনিয়া থানার টহল গাড়ি আশেপাশের এ গলিগুলোতে না আসায়  আড্ডা আর খোশগল্পে মেতে উঠছেন অনেকেই।অথচ এ সময় জনসাধারনকে নিরাপদে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকারসহ স্থানীয় প্রশাসন।অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করেছে। অতি প্রয়োজন হলে সকল নাগরিককে মাস্ক পরে বাহিরে যেতে হবে। বাসায় ফিরে হাতমুখ ও জামা কাপড় ধূতে বলা হয়েছে। তারপরও এ অঞ্চচলের মানুষ এ কথা মানছেনা। তারা এতই বেপরোয়া যে করোনাভাইরাস তাদের জন্য কিছুই না। তারা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে রাস্তাঘাটে ও বাজারে দোকানপাটে ঘোরাঘুরি করছেন।অলি গলির চায়ের দোকানগুলোতে বসে তালগোল পাকিয়ে চা খাচ্ছেন।

এদিকে এসকল এলাকায় করোনা আতংকে সরকারি বা স্থানীয় প্রশাসনের কথা না মানায় হতাশ প্রকাশ করছেন সচেতন ব্যক্তিবর্গ।একই সাথে এসকল এলাকার আশেপাশের গলিগুলোতে পুলিশি টহল বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন

এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আজিমুল করিম জানান ,কাউনিয়া থানা প্রশাসন মাঠে তৎপর রয়েছে।পাড়া মহল্লা গুলোকে ও নজরদারির আওতায় আনছি।আমাদের অফিসার সবসময় মানুষকে ঘরে থেকে না বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। আড্ডা বা দোকানপাট বন্ধে অর্থাৎ অঘোষিত লকডাউনে বাহিরে বের না হয়ে বাসায় অবস্থানের জন্য এবং অঘোষিত এ লকডাউন কার্যকরে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

এই বিভাগের আরো খবর


আরো সংবাদ ... আরও